দুনিয়ার সুখ-দুঃখ সব ধ্বংসশীল

সুখ-শান্তি, স্বস্তি কামনা করে সবাই। সুখের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে মানুষ। চেষ্টা-প্রচেষ্টা বিনিময়ে কিছুটা স্বস্তি হয়তো মিলে কখনো কখনো। কিন্তু পরক্ষণেই আবার সব হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। শুরু হয় ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট। কোরআনে ভাষ্য অনুযায়ী দুনিয়ার সুখ-শান্তি এমনই। তা চিরস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী নয়। এই দেখা মেলে আবার হঠাৎ হারিয়ে যায়।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, নিশ্চয় কষ্টের সাথেই স্বস্তি আছে। (সুরা আল-ইনশিরাহ, আয়াত : ০৬)
তবে দুনিয়ার জীবনে কষ্টের পরও যেই স্বস্তি বা শান্তির দেখা মেলে তাও ক্ষণস্থায়ী। পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
مَا عِنۡدَكُمۡ یَنۡفَدُ وَ مَا عِنۡدَ اللّٰهِ بَاقٍ ؕ وَ لَنَجۡزِیَنَّ الَّذِیۡنَ صَبَرُوۡۤا اَجۡرَهُمۡ بِاَحۡسَنِ مَا كَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
তোমাদের নিকট যা আছে তা ফুরিয়ে যায়। আর আল্লাহর নিকট যা আছে তা স্থায়ী। আর যারা সবর করেছে, তারা যা করত তার তুলনায় অবশ্যই আমি তাদেরকে উত্তম প্রতিদান দেব। (সুরা আন-নাহাল, আয়াত : ৯৬)
অর্থাৎ যা কিছু তোমাদের কাছে রয়েছে (এতে পার্থিব মুনাফা বোঝানো হয়েছে) তা সবই নিঃশেষ ও ধ্বংস হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহর কাছে যা রয়েছে (এতে আখেরাতে জান্নাতের সওয়াব ও আজাব বোঝানো হয়েছে) তা চিরকাল অক্ষয় হয়ে থাকবে।
দুনিয়াতে মানুষ আনন্দ-বিষাদ, সুখ-দুঃখ, সুস্থতা, অসুস্থতা, লাভ-লোকসান, বন্ধুত্ব-শত্রুতা ইত্যাদি যেসব অবস্থার সম্মুখীন হয়, সবই ধ্বংসশীল। তবে এসব অবস্থা ও ব্যাপারের যে প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং কিয়ামতের দিন যেগুলোর কারণে সওয়াব ও আযাব হবে, সেগুলো সব অক্ষয় হয়ে থাকবে।
অতএব ধ্বংসশীল অবস্থা ও কাজ-কারবারে মগ্ন হয়ে থাকা এবং জীবন ও জীবনের কর্মক্ষমতা এতেই নিয়োজিত করে চিরস্থায়ী আজাব ও সওয়াবের প্রতি ঔদাসীন্য প্রদর্শন করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
এনটি