লিটন ফিরতেই তিনশর আগে অলআউট বাংলাদেশ

সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলকে উদ্ধারের চেষ্টায় বেশ সফল ছিলেন দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ দলের আশার প্রদীপের মতো আলো হয়ে জ্বলছিলেন দুজন। তবে মধ্য দুপুরে হঠাৎ খেই হারালেন লিটন। ঠিক যেভাবে আশার আলো হয়ে জ্বলছিলেন, সেভাবেই দলকে মাঝপথে রেখে বিদায় নিলেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজও একই পথ অনুসরণ করলেন। তাতে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে ১১৩ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে দুই সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন আর মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছিল বাংলাদেশ দল। ১৫৫ রানে ৬ উইকেট হারানো স্বাগতিক শিবিরে তখনো ফলো-অনের চোখ রাঙানি। তবে সেসব ভয়কে তোয়াক্কা করলেন না লিটন আর মিরাজ। অনেকটা কাছাকাছি সময়েই উইকেটে আসেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ওদের ব্যাটেই দায় মুক্তি বাংলাদেশের। অন্তত ফলো অন তো এড়ানো গেল।
১৫৫ রান থেকে দলীয় স্কোরটাকে টেনে নিলেন লিটন আর মিরাজ। সপ্তম উইকেটে দুজনের ১২৬ রানের পার্টনারশিপ। মাঝে মুশফিকের পর লিটন-মিরাজ দুজনেই পেলেন ফিফটির দেখা। তাতে শঙ্কা কাটলো কিছুটা। বড় হলো রান, কমলো উইন্ডিজের সঙ্গে রানের ব্যবধান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই অবশ্য খেই হারিয়ে বসলেন লিটন। কর্নওয়েলকে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ব্ল্যাকউডের হাতে ধরা পরেন তিনি। থামে লিটনের ৭১ রানের কার্যকরী এক ইনিংস।
তিন বল বাদেই নতুন ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানকে ফেরান কর্নওয়েল। পরের ওভারেই গ্যাব্রিয়েলের শিকার মিরাজ। চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান এদিন ফিরলেন ৫৭ রানে। তার ১৪০ বল ও ১৯৯ মিনিটের ইনিংসটি থামলো ৬টি চারের মারে। খানিক বাদে আবু জায়েদ রাহিকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশ ইনিংস থানিয়ে দেন আলজারি জোসেফ। ২৯৬ রানে থামে টাইগারের ইনিংস। উইন্ডিজের হয়ে বল হাতে একাই ৫ উইকেট তুলে রাকহিম কর্নওয়েল। ১১৩ রানের লিড হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে ক্যারিবীয়রা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
উইন্ডিজ: ৪০৯ (বোনার ৯০, জশুয়া ৯২, জোসেফ ৮২; রাহী ৯৬-৪, তাইজুল ১০৮-৪)
বাংলাদেশ: ২৯৬ (লিটন ৭১, মিরাজ ৫৭, মুশফিক ৫৪; কর্নওয়েল ৫/৭৪)
টিআইএস/এমএইচ/এটি