কিংসকে আরও এগিয়ে দিল জামাল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে আবার ড্র করল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। নিজেদের ১১তম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। জামালের এই ড্রয়ে বসুন্ধরা কিংস শিবিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস। ১১ ম্যাচ শেষে শেখ জামাল ২৩ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে। ১২ ম্যাচ শেষে কিংসের সংগ্রহ ৩৪ পয়েন্ট। প্রথম লেগের শেষ ম্যাচে জামাল জিতলেও কিংসের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান থাকবে আট। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রহমগঞ্জের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলে নবম।
এবারের লিগে সর্বোচ্চ ছয়টি ড্র করেছে উত্তর বারিধারা। চারটি করে ড্র করেছে ঢাকা আবাহী, চট্টগ্রাম আবাহনী ও মোহামেডান। এবার তাদেরও ছাড়িয়ে পঞ্চম ড্র করল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৬ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে শেখ জামাল এগিয়েই যাচ্ছিল।
শেখ জামালের সলোমন কিংয়ের লং বলে রহমতগঞ্জের তারেকের হেডে বল যখন জালে ঢুকছিল তখন গোললাইন থেকে পা দিয়ে বল ঠেকিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। তবে ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যাচ্ছে বল গোললাইন অতিক্রম করেছে। যদিও গোলের জন্য কোন আবেদন করতে দেখা যায়নি শেখ জামালের ফুটবলারদের। ১৬ মিনিটে একটা সুযোগ পেয়েছিল রহমতগঞ্জ। তাদের তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার বেকনাজারোভ ফ্রি কিক থেকে যে শট নেন তা অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ২৭ মিনিটে আবারও ফ্রি কিক থেকে সুযোগ এসেছিল রহমতগঞ্জের।
এরপর প্রথমোর্ধে আর তেমন আক্রমণ করতে পারেনি কোন দল। ফলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতি থেকে ফিরে ৪৭ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল শেখ জামালের। ওটাবেকের ফ্রি কিক থেকে গোলমুখে জটলায় ওমর জোবের শট প্রতিহত হওয়ার পর নুরুল আবসারের শটও প্রতিহত হয়। তবে কর্নার পায় শেখ জামাল।
আর ৪৯ মিনিটে ওটাবেক কর্নার থেকে রতমগঞ্জের জালে সরাসরি বল জড়ান। দারুণ একটি গোল উপভোগ করেন দর্শকরা। আগের দিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আরমবাগের বিপক্ষে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ফয়সাল মাহমুদ দুই বার করেছিলেন। তার দেখানো পথেই যেন হাঁটলেন ওটাবেক।
তবে এই লিড ধরে রাখতে পারেনি শেখ জামাল। এক মিনিট পরই ম্যাচে সমতা আনে রহমতগঞ্জ। গোল করেন তাদের আইভোরিকোস্টের ফরোয়ার্ড ক্রিস্ট রেমি। ৫২ মিনিটে আবারও সুযোগ তৈরি হয়েছিল রহমতগঞ্জের। ৫৬ মিনিটে রহমতগঞ্জের নয়নের শট চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ওটাবেকের ফ্রি কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রস্ট হয়। ৭০ মিনিটে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় শেখ জামাল। ওমর জোবের শট গোলপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট হয় জামালের। গোলের জন্য একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে শেখ জামাল।
৭৫ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। ম্যাচে ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর ছয় মিনিটের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। আর ৯৫ মিনিটে ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন জামালের গাম্বিয়ান সুলেমান সিল্লা। এর ফলে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
এজেড/এমএইচ