জনসন-ওয়ার্নারের বিবাদ মেটানোর উপায় বললেন পন্টিং

মাঠের ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করছে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। তবে দেশটিতে আলোচনার বড় জায়গা দখল করে আছে সাবেক পেসার মিচেল জনসন ও ডেভিড ওয়ার্নারের মধ্যকার দ্বন্দ্ব। সপ্তাহ খানেক পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে অজিরা টেস্ট সিরিজ খেলতে নামবে। এই টেস্ট সিরিজ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন তারকা ওপেনার ওয়ার্নার। তার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নায়কোচিত বিদায়ের আয়োজন করায় কড়া সমালোচনায় নামেন জনসন। দুজনের অব্যাহত এই বিবাদ মেটাতে এবার নতুন উপায় বললেন দুবারের বিশ্বকাপজয়ী অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের একজন ওয়ার্নার। মূলত এমন কেলেঙ্কারিতে এই অজি ওপেনার জড়িত থাকার পরও তার বিদায়ের আয়োজন করায় জনসন কড়া সমালোচনায় নেমেছিলেন। এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের ধারাভাষ্যকারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ৪২ বছর বয়সী জনসনকে। ‘ট্রিপল এম’ সংস্থার হয়ে এই সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও, প্রকাশিত তালিকায় তার নাম নেই। সেখানে রয়েছেন– মার্ভ হিউজ, ওয়াসিম আকরাম এবং মার্ক টেলরের মতো কিংবদন্তিরা।
ফলে এই ইস্যুটি স্বাভাবিকভাবেই আরও কিছু সময় দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যা পছন্দ হচ্ছে না সাবেক অধিনায়ক পন্টিংয়ের। তাই জনসন-ওয়ার্নারের চলমান বিবাদ মেটাতে তিনি মধ্যস্থতা করতে চান বলে জানিয়েছেন। পন্টিংয়ের মতে– গণমাধ্যমের সামনে বিবাদ উসকে দেওয়ার চেয়ে, দুপক্ষ মুখোমুখি বসে এরকম ঘটনার ইতি টানা উচিৎ।
রিকি পন্টিং বলছেন, ‘আমি কোনো একটি স্টেজে তাদের দুজনের (ওয়ার্নার-জনসন) মাঝে থাকতে চাই। সম্ভবত আমারই সেখানে মধ্যস্থতা করা উচিৎ এবং গণমাধ্যমের সামনে না বলে তাদেরকে এক রুমে বসিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। আমি দুজনকেই চিনি, তারা বেশ বদমেজাজী স্বভাবের। সে কারণে এ ঘটনা আরও ৬-৮ মাস, এমনকি পরবর্তী অ্যাশেজের দল নির্বাচন পর্যন্তও দীর্ঘায়িত হয়ে পড়তে পারে।’
‘যেখানে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল। এটি এমন ঘটনা মনে হচ্ছে যেখানে কেউই বিষয়গুলো নিয়ে কারও সঙ্গে কেউ কথা বলেনি এবং মুখোমুখিও হয়নি। আমি পরস্পরকে এভাবে (মুখোমুখি আলোচনা) দেখতে চাই’, আরও যোগ করেন পন্টিং।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এর আগে ২৫৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছেন জনসন। এমনকি লম্বা সময় ধরে ওয়ার্নারের সঙ্গেও তার একত্রে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওই সময় তাদের মধ্যে অবশ্য এরকম কোনো বিবাদ ছিল না। তবে ২০১৮ সালের বল টেম্পারিংয়ের (স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারি) ঘটনার পরও সেখানে দণ্ডপ্রাপ্ত ওয়ার্নারের জন্য বলেকয়ে বিদায়ের মঞ্চ প্রস্তুত দেখে স্থির থাকতে পারেননি জনসন।
আরও পড়ুন
এ নিয়ে সাবেক এই পেসার লেখেন, ‘স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারিতে সে একা ছিল না, ঠিক আছে। তবে ওই সময় সে দলের অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড় ছিল। ‘নেতা’ মনে করে যে ক্ষমতার অপব্যবহার করাকে বেছে নেয়। এখন তার এমন বিদায় আমাদের দেশের জন্য একই রকম ঔদ্ধত্য এবং অসম্মানের। ভক্তরা ওয়ার্নারের জন্য কী নিয়ে আসবেন? বানিংসের (অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানি) তো স্যান্ডপেপার শেষ হয়ে যাবে।’
এরপর থেকে জনসন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান ক্রিকেটারদেরও তোপের মুখে পড়েন। উসমান খাজাদের বরং ওয়ার্নারের সমর্থনেই যুক্তি দিতে দেখা যায়। উল্টো বিপদে পড়েন জনসন। যার ধারাবাহিকতায় আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের ধারাভাষ্য তালিকা থেকে তিনি বাদ পড়েছেন।
এএইচএস