বাফুফেতে বিকেএসপির আপিল

খেলোয়াড় জালিয়াতির কারণে বাফুফে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশের এই ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ বাফুফের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে। বিকেএসপির কোচ ও দেশের প্রথম ফিফা নারী রেফারি জয়া চাকমা এই আপিল বাফুফেতে জমা দেন।
বিকেএসপির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আনোয়ার সাদাত আবু মোঃ ফুয়াদ গতকাল ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছিলেন বিকেএসপি আপিল করবে। আজই পরিচালক প্রশিক্ষণের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে ফেডারেশনে আপিল করেছে। আপিলের বিষয় বস্তু সম্পর্কে পরিচালক প্রশিক্ষণ কর্ণেল মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, 'বাফুফের এই সিদ্ধান্ত আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যায় না সেটাই মূলত উল্লেখ করেছি। আশা করি তারা আমাদের আপীল গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।'
বিকেএসপির কয়েকজন খেলোয়াড় তৃতীয় বিভাগের দল চকবাজার কিংসের হয়ে খেলেছিল। এ নিয়ে বিকেএসপির সাথে কিংসের একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়। সেখানে বিকেএসপির কয়েকজন শিক্ষার্থীর পরিচয় ভুল ছিল। আবার সেই শিক্ষার্থীরাই দ্বিতীয় বিভাগ লিগে অন্য পরিচয় দিয়ে নিবন্ধন করে। এর মধ্যে একজন খেলেছেও। এই সব অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়, কোচকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বাফুফে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিকেও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিকেএসপিও আভ্যন্তরীণভাবে এই বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিকেএসপির নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পাশাপাশি এটাও আলোচনায় আসছে ভুল পরিচয়ে খেলোয়ড়রা খেলেছে তৃতীয় বিভাগে সেই তৃতীয় বিভাগের দলের শাস্তি না হয়ে দ্বিতীয় বিভাগের বৈধ খেলোয়াড় ও বৈধ দলের কেন হলো? বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন ব্যক্তিগত সফরে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। মেলবোর্ন থেকে তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমাদের যা সিদ্ধান্ত সেটা বিজ্ঞপ্তিতেই রয়েছে। এর বাইরে জুডিশিয়াল কমিটি হিসেবে আমরা গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে পারি না।'
সাধারণত ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত প্রদানরে এক সপ্তাহের মধ্যে আপিল করতে হয়। বিকেএসপি নির্ধারিত সময়েই আপিল কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরি বরাবর। আপিল কমিটি বিকেএসপির আপিল পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এজেড/এইচজেএস