বাবা-মায়ের ভুল ভাঙাতে পেরে খুশি সাগরিকা

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ ৩-১ গোলে নেপালকে হারিয়েছে। বাংলাদেশের ৩ গোলের দুটিই করেছেন সাগরিকা। খেলার মাঠে ‘দোর্দণ্ড প্রতাপশালী’ সাগরিকাকে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দেখা গেল ভিন্ন রূপে।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল। নেপাল বিরতির পর ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করে। বাংলাদেশকে সেই সাময়িক চাপ থেকে উত্তরণ করেন সাগরিকাই। গোলের সূচনার মতো জয়সূচক গোলটিও তার।
ফলে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়ার আগ্রহ ছিল সাগরিকাকে নিয়ে। সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নে কখনও চুপি চুপি হেসেছেন কখনোওবা মাথা নিচু করেছেন আকস্মিক। সাংবাদিকদের প্রশ্ন সহজ করতে কোচ সাইফুল বারী টিটু পাশে বসে সহায়তাও করেছেন।
বাংলাদেশকে জেতানো সাগরিকা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘দলকে জেতাতে পেরে ভালো লাগছে। হ্যাটট্রিক করতে পারলে আরও ভালো লাগতো। কিছু সুযোগ মিস করেছি, কিছু ভুলও করেছি।’

নারী ফুটবলে উঠতি তারকা সাগরিকা। সাফ অ-১৭ টুর্নামেন্টেও গোল রয়েছে তার। এবার অ-১৯ টুর্নামেন্টের শুরুতে করলেন জোড়া গোল। সাগরিকার মতো অন্য দশজন নারী ফুটবলার ক্রীড়াবিদের চিত্রও একই। ক্যারিয়ারের এই জায়গায় দাড়িয়ে স্মরণ করলেন শুরুর দিনগুলোর কথা, ‘আমার বাবা-মা ফুটবল খেলতে দিতে চাইতেন না। খালা বলতেন– মেয়েটিকে আমাকে দাও, সে ফুটবল খেলুক। আমি জাতীয় দলে খেলে বাবা-মায়ের ভুল ভাঙতে পেরে খুশি।’
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু করার। নেপালকে হারানোর পর বাংলাদেশের কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী স্কোরলাইন হয়নি, এরপরও খুশি প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায়।’
নেপাল ৪০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে ছিল। এরপর খেই হারিয়ে ফেলে তারা। নেপাল কোচ বাল গোপাল সাহু ম্যাচ বিশ্লেষণ করলেন এভাবে, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা ফিজিক্যালি এগিয়ে। সেটাই ম্যাচ প্রভাব ফেলেছে।’
গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই জিতেছে। নেপাল ও ভুটান হেরে যাওয়ায় ফাইনালে ওঠা তাদের জন্য শঙ্কার।
এজেড/এএইচএস