লিটনের রানখরা নিয়ে যা বললেন পাপন-সুজন
লিটন দাসের ব্যাটে রান নেই। বাংলাদেশের ইনিংস শুরুর কারিগর যিনি, তার ব্যাটেই যেন চলছে রানের দুর্ভিক্ষ। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে থেকেই চলে আসছে সমস্যা। বিশ্বকাপের জন্য দেশ ছাড়ার আগে ফর্মহীনতার কথা বলে এক ম্যাচে দেখা যায়নি তাকে। বিশ্বকাপেও খুব একটা ছন্দে ছিলেন না। শ্রীলঙ্কা সিরিজে তো মাঝপথেই বাদ পড়ে গেলেন।
এমনকি জিম্বাবুয়েরব বিপক্ষে সিরিজেও লিটনকে দেখে হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় নেই যেন। অপরপ্রান্তে নবাগত তানজিদ তামিমকে সাহস দেয়ার দায়িত্বটাও যখন তার ওপরেই বর্তায়, সেই সময় লিটনের এমন অফফর্ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে সব পর্যায়েই আছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
যদিও নিজের বাজে ফর্মের দিনে এসেও খালেদ মাহমুদ সুজনকে পাশে পাচ্ছেন লিটন। গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘সেখানে কি আমাদের সবার দায়িত্ব নেই? লিটন প্রথম ম্যাচে রান করেনি, কালও খুব বেশি রান করেছে বলব না। লিটন বিশ্বকাপ দলে থাকবে কিনা এমন অনেক প্রশ্ন দেখলাম মিডিয়াতে। এগুলো তো হওয়া উচিৎ না। লিটন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ওর অফ ফর্ম থাকতেই পারে। ক্রিকেটে ফর্ম– অফ ফর্ম দুটিই আছে। হয়ত লিটন এখন একটু অফ ফর্মে আছে। বাংলাদেশকে সার্ভিস দেওয়ার জন্য ও মাত্র এক ইনিংস দূরে।'
লিটনকে নিয়ে আশাবাদী সুজন। সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমের সমালোচনা নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। বললেন, ‘এগুলো আমাদের সবারই দায়িত্ব। দল নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া, ঘাটাঘাটি, কথাবার্তা... এজন্য দেশে খেলা হলে ছেলেরা আরও বেশি চাপে থাকে। নিউজিল্যান্ড একটা ম্যাচ হারলে আমি দেখি না ওদের দেশের মানুষ তেমন প্রতিক্রিয়া দেয়। আমরা যদি হারি বা খারাপ খেলে, তখন বলা হয় লিটন পারছে না, লিটনের নাম ঠনঠন দাস হয়ে যায়। লিটন এখন অনেক অভিজ্ঞ। তাকে তার মতো খেলতে দেওয়া উচিৎ। ওর খেলা ওকেই চিন্তা করতে হবে।'
লিটন ও অন্য ব্যাটারদের নিয়ে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের প্রত্যাশা শুধু একটাই। তিনি চান ফর্মে থাকুক সকলেই, ‘চ্যালেঞ্জ থাকবেই। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, লিটন তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরে আসুক। শুধু লিটনই না, সবাই সেরা ফর্মে থাকুক, ভালো খেলুক। টি-টোয়েন্টি খেলতে হলে এখন সাহস নিয়েই খেলতে হবে। রান হলো কি হলো না, ফর্ম আছে কি নাই এসব ভেবে লাভ নাই। হাত খুলে না খেললে বড় ইনিংস খেলা মুশকিল।’
একইসময়ে চলমান আইপিএলে চলছে রানবন্যা। তবে বাংলাদেশের খেলায় টি-টোয়েন্টির সেই বিধ্বংসী রূপ নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটের এমন অতিরিক্ত রানকেও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে সমস্যা হিসেবে দেখছেন পাপন, ‘সমস্যা হয়েছে কী, সাথে আইপিএল চলছে। আইপিএল দেখে বুঝতে পারছি না হচ্ছেটা কী। ২৫০-২৬০ করেও জিততে পারে না। আর আমরা কী করছি? ২৪০-২৪৫ করতেই মনে হয় হিমশিম খাচ্ছি। ওরা যেভাবে খেলছে, এই খেলার সাথে অনেক পার্থক্য। এক বছর আগেও এত পার্থক্য মনে হয়নি।'
এসএইচ/জেএ