বিপিএলে ফর্ম দিয়ে আলোচনায়, ডাক পেতে পারেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে আছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার খুশদিল শাহ। স্বভাবতই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার ডাক পাওয়ার কথা কেউ ভাবার কথা নয়। ইতোমধ্যে ঘোষিত পাকিস্তানের ১৮ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে নেই খুশদিলের নাম। তবে চলমান বিপিএলে অলরাউন্ড নৈপুণ্যের কারণে তিনি স্বদেশি সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন। আইসিসির মেগা আসর শুরুর আগে নিজেকে প্রমাণের জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজে ডাক পেতে পারেন খুশদিল।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগমুহূর্তে পাকিস্তান ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে ফরম্যাটে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। ওই সিরিজের স্কোয়াডে থাকতে পারেন খুশদিল। এ ছাড়া প্রাথমিক স্কোয়াডের বাইরে থাকা পাকিস্তানের টেস্ট দলের অধিনায়ক শান মাসুদও চ্যম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বিবেচনায় আছেন। আবার ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে না পারলে প্রাথমিক স্কোয়াড থেকে ছিটকে যেতে পারেন তরুণ ওপেনার সাইম আইয়ুব।
এদিকে, বিপিএলের চলমান একাদশ আসরেও রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন পাক অলরাউন্ডার খুশদিল। ব্যাট-বল দুই বিভাগেই তিনি বেশ ফর্মে আছেন। স্পিন বোলিংয়ে এখন পর্যন্ত আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। ৮ ইনিংসে ১০.৭১ গড়ে খুশদিল ১৪ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া ১৮৯.৪৭ স্ট্রাইকরেট ও ৭২ গড় নিয়ে ২৮৮ রান (সপ্তম সর্বোচ্চ) করেছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
পাকিস্তানের জার্সিতে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় খুশদিলের। এরপর ২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার ১০ ওয়ানডেতে ১৯৯ রান এবং ২ উইকেট নিয়েছেন। ফরম্যাটটিতে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালের আগস্টে। এ ছাড়া জাতীয় দলের হয়ে ২৭ টি-টোয়েন্টিতে ৩৪৪ রান এবং উইকেট নিয়েছেন ৩টি। হাংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসই (২০২৩ সালের অক্টোবর) ছিল খুশদিলের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
আরও পড়ুন
সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, ফর্মহীনতার কারণে আব্দুল্লাহ শফিক নির্বাচকদের নজরদারিতে আছেন। তার জায়গায় ওয়ানডে ফরম্যাটের দলে ফিরতে পারেন শান মাসুদ। এ ছাড়া ইমাম-উল হক এবং হাসিবুল্লাহ খানরাও আছেন ইতিবাচক বিবেচনায়। পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াডে ব্যাটার হিসেবে এখন পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, সালমান আলি আগা, তৈয়ব তাহির ও ইরফান খানরা। বোলিং বিভাগে থাকতে পারেন শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন। কামরান গুলাম, আবরার আহমেদ ও সুফিয়ান মুকিমরাও আছেন চূড়ান্ত দলের বিবেচনায়।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের। পাকিস্তানের তিনটি (করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি) ভেন্যু এবং দুবাইয়ে (কেবল ভারতের ম্যাচ) হবে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গী হিসেবে আছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিজেদের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা কিংবা পরিবর্তন আনার সুযোগ পাবে প্রতিযোগী ৮ দল।
এএইচএস