ফুটবলারদের বিদ্রোহে তোলপাড়, খতিয়ে দেখতে রাতেই কমিটি গঠন

ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার ও সিনিয়র ফুটবলারদের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ১৫ থেকে ১৭ জন নারী ফুটবলার বাফুফে ভবনের নিচে এই কোচের অধীনে অনুশীলন না করা এবং ফেডারেশন এই কোচকে রাখলে ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
নারী ফুটবলারদের এমন অবস্থানের পর আকস্মিক নড়েচড়ে বসেছে বাফুফে। আজ রাতেই বাফুফের জরুরি কমিটির সভা অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই জরুরি কমিটির সদস্য সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চার সহ-সভাপতি।
সভা সূত্রে জানা যায়, নারী ফুটবলে উদ্ভুত সংকট নিয়ে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানকে। এ ছাড়া, কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম, দুই নির্বাহী সদস্য ছাইদ হাসান কানন ও সাখওয়াত হোসেন ভুইয়া শাহীন। নির্বাহী কমিটির বাইরে পুলিশ কর্মকর্তা কাজী নুসরাত এদিব লুনা এবং আরও দুই সরকারি কর্মকর্তা হুমায়ন খালিদ ও আতিকুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে।
এরা সরকারি কর্মকর্তা হলেও এদের ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, এই কমিটি নারী ফুটবলের সংকটের সব বিষয় খতিয়ে দেখবে। মূলত আজ নারী ফুটবলাররা কোচের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ এনেছেন সেগুলো এই কমিটি খতিয়ে দেখবে। কোচের ওপর খেলোয়াড়দের আনিত অভিযোগ যেমন বিশ্লেষণ করবে তেমনি খেলোয়াড়রা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছেন কি-না এটাও কমিটি দেখবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নারী ফুটবলে সংকট এতদিন জিইয়ে রেখে খেলোয়াড়-কোচ দুই পক্ষ চরম মুখোমুখি অবস্থানের পেছনে বাফুফের নারী উইং দায় এড়াতে পারে না।
আরও পড়ুন
সংশ্লিষ্টরা আরও অভিযোগ করেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির পর বাফুফে কমিটি গঠন করেছে। অথচ দুই বছরের জন্য যখন পিটার বাটলারকে নিয়োগ দিয়েছিল তখন কোনো আনুষ্ঠানিক সভা হয়নি। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও নারী উইংয়ের কমিটি প্রকাশ হয়নি। নারী উইংয়ের প্রধান ফুটবলারদের সঙ্গে সমস্যার পরেও বাটলারের ওপর আস্থা রাখা হয়েছে এবং বাফুফে সভাপতি সেই আস্থার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছেন। গত ১৪ জানুয়ারি জরুরি কমিটির সভায় সভাপতি দুই কোচের চুক্তি নবায়নে ইতিবাচক মনোভাব পোষণের পর উপস্থিত অন্যরাও সায় দেন।
এজেড/এমজে