রোজা রেখেই মাঠে নামছেন ১৯ বছরের ইয়ামাল, থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

দিনের বেলায় রোযা, রাতে ফুটবল। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে মুসলিম ফুটবলারদের জন্য চিত্রটা এমনই। মোহাম্মাদ সালাহ, নাসের মাজরাউই কিংবা ওমর মারমৌশরা খেলতে নেমেছেন রমজানের রোজা পালন শেষ করেই। এই তালিকায় আছে আরও এক নাম। তিনি ফুটবলের উঠতি সেনসেশন লামিনে ইয়ামাল।
বাবা মরক্কোর, মা গিনির। লামিনে ইয়ামালের জন্ম স্পেনে। মুসলিম পরিবারের সন্তান লামিনে ইয়ামাল হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দিন দশেক আগে শুরু হওয়া পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বের বাকি সব মুসলমানের মতো রোযা পালন করছেন তিনিও। সেই অবস্থাতেই খেলছেন লা লিগা কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ।
এরইমাঝে গুঞ্জন উঠেছে, ক্লাবের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হচ্ছে ইয়ামালের রোজা পালন করার ক্ষেত্রে। বেনফিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের প্রথম লেগে তাকে দ্রুত উঠিয়ে নেয়ার পেছনেও রমজান মাসের রোজা পালনকেই বড় করে দেখেছিলেন অনেকেই। তবে স্প্যানিশ গণমাধ্যম ডিয়ারিও এএস জানিয়েছে, ট্যাকটিকাল কারণেই সেদিন এই তরুণকে উঠিয়ে নেন কোচ ফ্লিক।
— BarçaTimes (@BarcaTimes) March 1, 2025
গণমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, রমজানের রোজা পালনের ক্ষেত্রে লামিনে ইয়ামালকে কোনো প্রকার বিধিনিষেধের মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। বরং ক্লাবের মেডিক্যাল বিভাগের পক্ষ থেকে লামিনে ইয়ামালের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ক্লাবের নিজস্ব পুষ্টিবিদের মাধ্যমে লামিনের ইয়ামালের সাহরি এবং ইফতারের মেন্যু ঠিক করে দেয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
বার্সেলোনায় এর আগে ফ্র্যাংক কেসি, ওসমান ডেম্বেলে রমজান মাসে রোজা রেখেই মাঠ মাতিয়েছেন। যে কারণে ক্লাবে এই প্রসঙ্গে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই। যদিও চলতি মাসে ইয়ামাল বার্সেলোনার নিজস্ব আবাসন প্রকল্প লা মাসিয়া ত্যাগ করে তার দাদি ফাতিমা এবং চাচা আব্দুলের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
সেখানেই রমজানে ইফতারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ইয়ামালের জন্য। ক্লাবের পক্ষ থেকে ম্যাচের দিন ইফতারের প্রতি রাখা হচ্ছে নজর। যেমনটা থাকছে আজ রাতে বেনফিকার বিপক্ষে বার্সেলোনার ম্যাচের সময়েও। অবশ্য এদিন শুরুর একাদশে থাকলে রোযা রেখেই মাঠে নামতে হবে ইয়ামালকে। ম্যাচের মাঝেই ইফতার করতে হবে তাকে।
জেএ