দাবাড়ুদের জমজমাট নির্বাচন, ক্রিকেট-ফুটবল-হকি সমিতিতে নেই

দেশের তিন শীর্ষ খেলা ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি। তিন খেলাতেই খেলোয়াড় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য রয়েছে সংস্থা। সেই সংস্থাগুলোর কমিটি ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয় না। সেখানে অ্যাসোসিয়েশন অফ চেস প্লেয়ার্স বাংলাদেশ (এসিপিবি) ব্যতিক্রম। দুই বছর অন্তর অন্তর ভোটাভুটির মাধ্যমে তাদের কমিটি গঠন হয়। আজ (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দাবাড়ুদের তিনটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দাবাড়ুদের সংগঠনের ভোট গণনা চলছে এখনও। তবে ইতোমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় এনায়েত ও শাওন নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সভাপতি পদে এনায়েত ৩৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল ৩৭৪ ও আরবিটার আলমাস পেয়েছেন ৩৩ ভোট। ৫টি ভোট বাতিল হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাস্টার শাকিল বিগত সময়ে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
দাবাড়ুদের সংগঠনে কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ দুই বছর। গত এক দশক যাবৎ নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কখনও দুই বা দুইয়ের অধিক প্যানেল হয়। ভোটাভুটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও নিজেদের মধ্যে অবশ্য সে রকম বিদ্বেষ ছড়ান না দাবাড়ুরা। সুন্দর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার চর্চাই করেন বুদ্ধিভিত্তিক ডিসিপ্লিনের এসব ক্রীড়াবিদ।

দাবার ভিন্ন চিত্র দেশের শীর্ষ তিন খেলায়। ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির হকি স্টেডিয়ামে দু’টি কক্ষ থাকলেও সেখানে ফুটবলারদের যাতায়াতই নেই। খেলোয়াড় সমিতির নেতৃত্ব বর্তমান ও সক্রিয় ফুটবলারদের হাতে থাকার কথা থাকলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সমিতির সভাপতি সাবেক জাতীয় ফুটবলার ইকবাল হোসেন। তিনি ১২ বছর আগে ফেডারেশনে সদস্য হলেও এই পদ ছাড়েননি। এক যুগ পর আবার ফেডারেশনের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, এখনও এই সমিতির কমিটি প্রদান করতে পারেননি।
ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সংগঠনের নাম কোয়াব। সাবেক জাতীয় অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় দীর্ঘদিন এই সংগঠনের সভাপতি এবং দেবব্রত পাল সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বছর দেড়েক আগে এক সম্মেলনের মাধ্যমে আবারও তারা স্বপদে বহাল থাকেন। সম্প্রতি কোয়াবে অ্যাডহক কমিটি গঠিত হয়েছে। কোয়াবের নিজস্ব কোনো কার্যালয় না থাকলেও হকি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির রয়েছে। এই কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারি পদে সাবেক দুই জাতীয় খেলোয়াড় রাসেল খান বাপ্পি ও আরিফুল হক প্রিন্স রয়েছেন দুই দশক ধরে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রিন্স-বাপ্পির কমিটির সমালোচনা করেন বর্তমান খেলোয়াড়রা। এর বিপরীতে কল্যাণ সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারিও পাল্টা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। নভেম্বর মাসের দিকে অবশ্য কয়েকজন খেলোয়াড় মিলে একটি অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করেন।
এজেড/এএইচএস