জাতীয় স্টেডিয়ামে শেড থেকে সরিয়ে বাইরে ৪০০ চেয়ার

১০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচ উপলক্ষ্যে বাফুফে সাধারণ গ্যালারীতে ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা করেছে। জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার পর সাধারণ গ্যালারীর ১৮,৩০০ আসনই ছিল গ্যালারী শেডের নিচে। সেখান থেকে ৪০৫ টি চেয়ার সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব-পশ্চিম দুই গ্যালারীতে বেশ কিছু অংশে বেশ গাদাগাদি করে চেয়ার বসানো হয়েছে। দর্শক পরিপূর্ণ গ্যালারীতে সেই সকল আসনে ভালোভাবে যাতায়াত তো দূরের কথা, আসন গ্রহণ করাই দায় হবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সমস্যা চিহ্নিত করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোঃ আজমুল হক বলেন, '৪০৫ টি চেয়ার বিদ্যমান জায়গা থেকে সরিয়ে মশাল গেটের পাশে দু’টি ফাঁকা জায়গায় স্থাপিত হবে।'
২০২১ সাল থেকে জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। প্রায় চার বছর হতে চলছে। এখন শেষ পর্যায়ে এসেও নানা অসঙ্গতি ধরা পড়ছে। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বাফুফেকে ২২ মে’র মধ্যে স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ প্রস্তত করার ডেডলাইন দিয়েছে। নির্ধারিত সময়েই বাফুফেকে হস্তান্তর করার ব্যাপারে আশাবাদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পরিচালকের, 'আমাদের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ফ্লাডলাইট স্থাপনও শেষ পর্যায়ের। আমরা পরিপূর্ণভাবে ২২ মে’র মধ্যে বাফুফেকে বুঝিয়ে দিতে পারব।'
ঘাসের মাঠের দায়িত্ব ইতোমধ্যে বাফুফে নিয়েছে। প্রেসবক্সসহ আরও অনেক বিষয়ে বাফুফে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে পর্যবেক্ষণ করতে দিয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সেই বিষয়গুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের কাজ করছে।
১০ জুন হামজা চৌধুরীর ঢাকায় অভিষেক হওয়ার কথা। সেই ম্যাচ উপলক্ষ্যে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। গ্যালারীর শেডের বাইরে চারশ’ চেয়ার সরলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আশাবাদী বাফুফে শেডের বাইরে অন্যত্র চেয়ার স্থাপন করে সাধারণ দর্শক আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার। সাধারণ গ্যালারীর বাইরে ভিআইপি, ক্লাব হাউজে আসন সংখ্যা চার হাজারের বেশি। সেই চেয়ারগুলো বিদেশ থেকে এনে বসানো।
এজেড/এইচজেএস