অস্ট্রেলিয়ান তারকাদের ছাড়াই হতে পারে আইপিএল-পিএসএল

রীতিমতো যুদ্ধে জড়াতে যাচ্ছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। তাদের সামরিক সংঘাতের কারণে নিরাপত্তা শঙ্কা, স্থগিত হয়ে যায় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএল ও পিএসএল। অবশ্য ক্রিকেটীয় এই স্থিতাবস্থার জল বেশিদূর গড়ায়নি। টুর্নামেন্ট দুটি স্থগিত ঘোষণার একদিন পরই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে ভারত-পাকিস্তান। তবে উত্থান ঘটেছে নতুন সমস্যার। বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতি নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
গতকাল (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে দুই এশিয়ান পরাশক্তির। যদিও এখনও পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়নি। তবে এরই মাঝে আইপিএল ও পিএসএলের বাকি অংশ শুরু করতে উভয় দেশের ক্রিকেট বোর্ড তোড়জোড় চালাচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের ভেতর বিসিসিআিই ও পিসিবি অবশিষ্ট খেলা শেষ করতে চায়।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ সংস্থা এএপি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহে কাশ্মির অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার স্বাক্ষী হওয়া ক্রিকেটাররা আবারও টুর্নামেন্ট খেলতে যাবেন কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। আইপিএল ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তিন শহর বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে; যা পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে বেশ দূরে।
আরও পড়ুন
ইতোমধ্যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস ও চেন্নােই সুপার কিংস আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। যাদের কেবল একটি অথবা দুটি ম্যাচ বাকি। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা এসব ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন প্যাট কামিন্স, ট্রাভিস হেড ও নাথান এলিসরা। যদিও কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড ও হেড শনিবারই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছে এএপি।
আগামী ১১ জুন লর্ডসে শুরু হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের ফাইনাল। আইসিসির এই মেগা ইভেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে। সে কারণে আগেভাগেই শুরু হবে এই দুটি দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। তার মানে ফাইনালকে কেন্দ্র করে অজি ও প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা যোগ দেবেন স্ব স্ব ক্যাম্পে। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুসারে আইপিএলের ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে। নতুন সূচি ওই সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারলে হয়তো বিদেশি ক্রিকেটারদের পাবে আইপিএল। অন্যথায় তাদের কিছু কমতি নিয়েই নামতে হবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে আছেন শন অ্যাবট, বেন দারউইশ, অ্যাস্টন টার্নার ও মিচেল ওয়েন। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ডেভিড ওয়ার্নারও খেলছেন এই প্রতিযোগিতায়। শুক্রবার পাকিস্তান ছাড়ার আগে তারা নাকি অল্পের জন্য মিসাইল হামলা থেকে বাঁচতে পেরেছেন। এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর তারা আবারও এই মুহূর্তে পিএসএল খেলতে যাবেন কি না সেটাই প্রশ্নের বিষয়। যদিও এখনও পাকিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটি কবে নাগাদ এবং কোথায় শুরু হবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে পিএসএলের বাকি অংশ আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে সেটি নির্ভর করছিল সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনার ওপর। পরবর্তীতে টুর্নামেন্টই স্থগিত হয়ে যায়। অন্যদিকে, আইপিএল ভারতে আয়োজন না করা গেলে তাদের সামনেও অপশন হিসেবে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, আরব আমিরাত কিংবা ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ইতোমধ্যে বিসিসিআইকে আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে।
এএইচএস