ইনসুইং-আউটসুইংয়ে অস্ট্রেলিয়ায় সফলতা পেয়েছেন বাংলাদেশি পেসার

প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা নিতে মুখিয়ে ছিলেন এনামুল হক। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে সুযোগ পেয়েই তিনি বলের গতি ও ইনসুইং-আউটসুইংয়ে দক্ষতা দেখিয়েছেন। যার কারণে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা হিমশিম খেয়েছেন বলে দাবি এনামুলের। অবশ্য প্রথম চারদিনের ম্যাচে এক ইনিংস বল করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি, যেখানে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পুরেছেন ঝুলিতে।
যদিও ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ‘এ’ দল ১২ রান এবং ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে। ডারউইনে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। এরপর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ৩৮০ রান নিলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে ২৬৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা সেই রানও করতে পারেনি। শাহাদাত হোসেন দিপুর ৪৯ রানে ভর করে তোলে ২৫৪ রান।
এদিকে, বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া আনামুল প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ছিলেন দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১১ নম্বরে নেমে তার ২৭ রানই দলীয় সংগ্রহ শতরান পেরোতে ভূমিকা রেখেছে। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও যে প্রয়োজনে খেলার সামর্থ্য আছে সেটাই দেখালেন এনামুল। ম্যাচ হারলেও এনামুলের পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে আলাদা করে।

অস্ট্রেলিয়া থেকে এনামুল বলছিলেন, ‘বোলার হয়েও আমি যখনই ব্যাট করি, ভালো করার চেষ্টা থাকে। আমি লম্বা হওয়ায় হয়তো খাটো লেংথে একটু বেশি হাইটে বল করছিল ওরা। তবে একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় থেকে। ওরা এখানে রেগুলার খেলে, তাই নির্দিষ্ট জায়গা মেনটেইন করে বল করেছে।’
পেসার হিসেবে উইকেট থেকে বাংলাদেশিরা কেমন সহায়তা পেল– সে প্রসঙ্গে ডানহাতি এই বাংলাদেশি বোলার বলেন, ‘আমরা যখন বোলিং করছিলাম আসলে খুব বেশি সহায়তা পাইনি উইকেট থেকে। উইকেটে তখন ভালো খেলা যাচ্ছিল ব্যাটারের জন্য। আমি শুধু জায়গামতো বল করার চেষ্টা করেছি। এখানে খেলতে পারাটা যখন দেশের বাইরে অন্য জায়গায় আবার খেলব, তখন অনেক কাজে দেবে।’
আরও পড়ুন
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা সুইংয়ের পাশাপাশি নির্দিষ্ট জায়গায় লাগাতার বল করেছে বলেও দাবি এনামুলের, ‘এখানে খুব দ্রুত সবকিছু বুঝে উঠতে হয়। পরবর্তীতে কাজে দেবে এমন অনেক কিছু এখান থেকে শিখতে পেরেছি। এদের উইকেটে আসলে হিট করলে খুব ভালো ক্যারি করে। ওদের বলে দেখলাম ছোট ছোট সুইং ছিল। দুই পাশেই বল সুইং করাচ্ছিল। এমন একটা জায়গায় ওরা চয়েজ করে বল করছিল যা সামনেও না পেছনেও না।’
নিজের বোলিং অভিজ্ঞতা ও এর সঙ্গে স্বাগতিক বোলারদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে ২৫ বছর বয়সী এনামুল জানান, ‘ওদের পুরো খেলা দেখলে আপনি দেখবেন– ওরা কভার ড্রাইভ কিংবা অন্য শট খেলার সুযোগ দেয়নি। ওভারে একটা-দুইটা বাউন্স ঠিকই মারতো। এই জায়গাটা ওরা কন্টিনিউ করে গেছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। যে অবস্থায় হোক না কেন জায়গামতো বল করাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার শেষ উইকেটটা পেয়েছিলাম আউট সুইংয়ের মধ্য দিয়ে। আমি ভেতরের দিকে এবং তারপর বাইরে বোলিং করেছি।’
এনামুলের দাবি দুই পাশে সুইং করার কারণে অজিদের বল খেলতে কষ্ট হয়েছে, ‘দেশ ছাড়ার আগে আমি তালহা ভাইয়ের সঙ্গে আউটসুইং নিয়ে কাজ করেছিলাম। জিনিসটা আসলে কত পারসেন্ট কাজে দিয়েছে তা বলব না। তবে আমি দু’দিকেই বোলিং করার কারণে ওদের আমার বল খেলতে একটু কষ্ট হয়েছে। উইকেটও পেয়েছি উভয়দিকে সুইংয়ের এর জন্য। আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, এটা আমার উন্নতিতে আরও সাহায্য করবে।’
এসএইচ/এএইচএস/এএল