অধিনায়কদের ‘বিশেষ’ প্রশিক্ষণ

ফুটবলে কোচই সর্বেসর্বা। খেলার কৌশল, ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড় পরিবর্তন সব কিছুই কোচের হাতে। এরপরও ম্যাচের সময় মাঠের উত্তেজনাপূর্ণ মুহুর্তগুলোতে অধিনায়কদের ভূমিকা রাখতে হয়। বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটি এজন্য অধিনায়কদের বিশেষ প্রশিক্ষণ করাতে চায়।
আজ বিকেলে বাফুফে ভবনে ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, 'ফুটবলের নিয়ম পরিবর্তন হয় প্রতি বছরই। আমরা আইন-কানুনগুলো খেলোয়াড়দের খুব ভালোভাবে রপ্ত করাব। অধিনায়ককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কারণ তাকে মাঠে অনেক বিষয় দেখভাল করতে হয়।'
২০২৫-২৬ ফুটবল মৌসুমে ফিফা নতুন আইন করেছে। এখানে কোনো ফাউল বা মাঠে সমস্যা হলে অন্য কোনো খেলোয়াড় রেফারির সঙ্গে আলোচনা করতে পারবে না। একমাত্র অধিনায়কই রেফারির সঙ্গে কথা বলবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটি অধিনায়ককে খেলার আইন-কানুন এবং রেফারি ও প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রশিক্ষণের চিন্তাভাবনা করছে।
বাংলাদেশ সাফ অ-১৯ ও অ-১৭ টুর্নামেন্টে ভালো ফুটবলই খেলেছে। এরপরও টাইব্রেকারে পরাজিত হয়েছে। বিশেষ করে রেফারিদের সিদ্ধান্তগুলো বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। এজন্য বাফুফে ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, 'সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমরা প্রতিবেদনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ দেব। আমাদের ছেলেরা ভালো ফুটবল খেলেছে এটা কিন্তু ধারাভাষ্যকাররাও বলেছে।'
সাফ অ-১৭ টুর্নামেন্টে টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের। সাফল্যের খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছেন নাজমুল হুদা ফয়সালরা। তবে তাদের নিয়েই এএফসি অ-১৭ টুর্নামেন্ট ভালো কিছু প্রত্যাশা করছে ফুটবল ফেডারেশন। পুরুষ বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে গতানুগতি কয়েক দিন অনুশীলন সংস্কৃতি ছিল বাংলাদেশের। বাফুফের বর্তমান কমিটি সেই ধারা থেকে বেরিয়ে আসছে। নভেম্বরে এএফসি অ-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাইয়ের জন্য ৩ অক্টোবর থেকে যশোরের শামসুল হুদা একাডেমিতে অনুশীলন শুরু হবে।
ফুটবলে উন্নয়নের সবচেয়ে বড় জায়গা তৃণমূল। এখানে পুষ্টিবিদ, অ্যানালিস্ট, মনোবিদ সহ আরো অনেক সাপোর্ট প্রয়োজন। বিশেষ করে টানা দুই বয়সভিত্তিক সাফে বাংলাদেশ টাইব্রেকারে হারায় এই আলোচনাগুলো জোরেশোরে আসছে। এ নিয়ে বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, 'অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা মনে করি সাফ এবং চীনের টুর্নামেন্টের ম্যাচের মাধ্যমে আমাদের ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা অবশ্যই এএফসি আসরে ভালো করতে চাই। এজন্য আমাদের খেলোয়াড়দের সাপোর্টের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এবং সেটা করা হবে।'
বাংলাদেশ অ-১৭ দলের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালও এএফসিতে ভালো করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, 'আমরা সাফে নিজেদের সেরাটা দিয়েছি। সামনে এএফসি টুর্নামেন্ট। সবাই দোয়া করবেন যেন সেখানে ভালো খেলতে পারি।' ২২-৩০ নভেম্বর সাতটি দেশে সাতটি ভেন্যুতে এএফসি অ-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাই হবে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল আগামী বছর সৌদি আরবে মূল পর্বে খেলবে। ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক চীনসহ বাংলাদেশের অন্য প্রতিপক্ষ বাহরাইন, তিমুরলেস্তে, ব্রুনাই ও শ্রীলঙ্কা।
এজেড/এইচজেএস