মতামত দেন জামাল, সেটা প্রকাশ করতে চান না

তিন বছরের বেশি সময় বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। এত দিন বাংলাদেশ দলের কোচ থাকলেও এখনো প্রাথমিক দল নির্বাচন, একাদশ গঠন বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। জামাল ভূইয়া অধিনায়ক হয়েও তিনি নিয়মিত একাদশে থাকেন না। যা তার ব্যক্তিগত এবং সামগ্রিক দলীয়ভাবে খানিকটা বিব্রতকর।
আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে একাদশ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে জামাল আজ খানিকটা কৌশলী উত্তর দিয়েছেন, 'কে খেলবে, কে খেলবে না—এটা কোচদের সিদ্ধান্ত। স্কোয়াডে ২৩ জন খেলোয়াড় আছে, সবাই খেলতে চায়। দিন শেষে সিদ্ধান্ত তাদেরই। আপনি কি ক্যাপ্টেন হিসেবে কোনো মতামত রাখেন? অবশ্যই আমার আলাদা মতামত আছে, তবে সেটা আমি আপনার সঙ্গে ভাগ করবো না—তবে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।'
হংকংয়ের স্টেডিয়াম ৫০ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। সব গ্যালারি টিকিট বিক্রি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই স্বাগতিক দলের সমর্থকদের চাপে থাকবে বাংলাদেশ। এটা নিয়ে অধিনায়ক জামাল খুব বেশি চিন্তিত নন, 'আমি জানি আগামীকাল টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যাবে, তবে কিছু দর্শক বাংলাদেশ থেকেও থাকবে, আমরা সেটা খুবই প্রশংসা করি। ম্যাচ শুরুর আগে দর্শকদের উপস্থিতি অনুভব করা যায়, কিন্তু খেলা চলাকালীন আপনি সেটা তেমন অনুভব করেন না, কারণ তখন অ্যাড্রেনালিন এত বেশি থাকে যে আপনি পুরোপুরি খেলায় মনোযোগী থাকেন। তবে ম্যাচ শেষে চারপাশে তাকালে অনেক মানুষ দেখতে পাবেন। এটা অবশ্যই খুব ভালো লাগে, বিশেষ করে আমাদের মতো খেলোয়াড়দের জন্য যারা এই ম্যাচ খেলবে।'
বাংলাদেশে এখনো শীতের আবহ শুরু হয়নি। তাপমাত্রা ত্রিশের কাছাকাছি। হংকংয়ে রাতের তাপমাত্রা ২০-২২ ডিগ্রির মধ্যে। শীতল ভাব থাকলেও খুব বেশি ঠান্ডা অনুভব হবে না। তাই আবহাওয়া নিয়ে অধিনায়কের মন্তব্য, 'আমার মনে হয় না খুব ঠান্ডা থাকবে—হয়তো ২১ বা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই আবহাওয়া খেলোয়াড়দের জন্য একদম উপযুক্ত। আর হংকং তো তাদের দলের জন্য সেরা সুযোগ-সুবিধা দিতে চাইবে, আমরাও তার সুফল পাবো। আমরা সাধারণত অনেক বেশি গরমে খেলি, তবে আমরা এই আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে পারবো। তবে আমাদের কাজ হলো আগামীকাল তিন পয়েন্ট অর্জন করা।'
এজেড/এইচজেএস