একটা ম্যাচ যেন সব শেষ করে দিয়েছিল, যেভাবে হতাশা কাটালেন রোহিত

২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আইসিসি ইভেন্টে ভারতের গেরো কাটছিল না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে সেই গেরো কাটায় মেন ইন ব্লুরা। ২০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই সংস্করণ ছেড়ে দেন রোহিত শর্মা। অথচ তার আগের বছরের একটি ম্যাচ যেন তার সব শেষ করে দিয়েছিল। মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে মনে হয়েছিল, ক্রিকেটকে তার আর কিছুই দেওয়ার নেই। সব শক্তি যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভাবনীয় পারফরম্যান্স করেছিল ভারত। লিগ পর্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়। তারপর একে একে আরও ৮ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠে, সেখানে নিউজিল্যান্ডও পাত্তা পায়নি। ফাইনালে অজিদের বিপক্ষে একেবারে অন্যরূপ দেখা যায় ভারতের। মাত্র ২৪০ রানে অলআউট হয়ে ৬ উইকেটে পরাজিত হয় স্বাগতিকরা। আহমেদাবাদে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার পুরো টিমকে ভেঙেচুরে দেয়।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন রোহিত। এক অনুষ্ঠানে সেই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি নিয়ে কথা বলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক, ‘বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে কী ঘটে গিয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে সময়টা প্রচণ্ড কঠিন ছিল। টুর্নামেন্টের অন্তত দুই তিন মাস আগে থেকে সর্বস্ব দিয়ে প্রস্তুতি সেরেছিলাম। ২০২২-এ আমি যখন অধিনায়কের দায়িত্ব নিলাম, একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ জয়। টি-টোয়েন্টি হোক কিংবা ওয়ানডে। যখন সেই লক্ষ্য পূরণ হলো না, একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামান্য শক্তিটুকু ছিল না। ওই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে বেশ কয়েক মাস সময় লেগেছিল। সত্যি বলতে কী, একটা সময় মনে হয়েছিল, আর খেলব না। মনে হয়েছিল ক্রিকেটকে দেওয়ার আর কিছু বাকি নেই আমার মধ্যে।’ সেই হতাশা কাটিয়ে ঠিকই রোহিত বিশ্ব জয় করেন। ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আগের বছরের যন্ত্রণা মুছে ফেলেন তিনি।
রোহিত বললেন, ‘আগেই বললাম, ওই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বেশ কয়েক মাস সময় লেগে গিয়েছিল। আসলে কী বলুন তো, আপনি যে জিনিস ভীষণভাবে চাইবেন, সেটা না পেলে ভেঙে পড়া খুব স্বাভাবিক। আমারও ঠিক সেটাই হয়েছিল। তারপর আস্তে আস্তে বুঝলাম জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বিশ্বকাপের হার আমাকে শিখিয়েছে ধাক্কা সামলে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। মনে হয়েছিল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ফোকাস করতে হবে। এখন হয়তো কথাগুলো খুব সহজে বলে দিতে পারছি। কিন্তু ওই সময় খুব কঠিন ছিল।’
এফএইচএম/