টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে টেস্টে নামলেন বুলবুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তনের সঙ্গে বড় রদবদল এসেছে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদেও। বোর্ডের এমন পরিবর্তনের হাওয়া মাঠের ক্রিকেটে কতটা লেগেছে? বছরের শেষে এসে বিতর্ক সঙ্গী করে মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল)। এ ছাড়া বছরজুড়ে মাঠের বাইরের নানা কাণ্ডেও আলোচনায় ছিল দেশের ক্রিকেট।
স্মৃতির পাতা থেকে ২২ গজে ২৫ এর আলোচিত সব ঘটনা ফিরে দেখেছে ঢাকা পোস্ট।
সাদা পোশাকে রঙিন পারফরম্যান্স
২০২৫ সালে টেস্টে মোট ৬টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ২ হার ও এক ড্রয়ের বিপরীতে জয় পেয়েছে ৩ টেস্টে। এ বছর লাল বলের ক্রিকেটে জয়ের শতকরা হার ৫০ শতাংশ। যা এক পঞ্জিকা বর্ষে টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের শতকরা হিসেবে রেকর্ড।
এই ফরম্যাটে দলের মতোই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও উজ্জ্বল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এ বছর সাদা পোশাকে ৯টি সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুশফিকুর রহিমরা। টেস্টে যা এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের যৌথ সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪ সালেও টেস্টে ৯টি সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। এ বছরের ৯ সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটি এসেছে শান্তর ব্যাট থেকে। বছরজুড়েই এই ফরম্যাটে রানের মধ্যেই ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ বছর টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩২ রানও এসেছে শান্তর ব্যাট থেকে। আর বোলিংয়ে ৩৩ উইকেট শিকার করে সবার উপরে আছেন তাইজুল ইসলাম।

টি-টোয়েন্টিতে উত্থান, ওয়ানডেতে পতন
এক সময় বাংলাদেশের পছন্দের ফরম্যাট ছিল ওয়ানডে। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই এ সংস্করণে অবনতি শুরু হয়। গত কয়েক বছর ধরেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স গ্রাফ নিম্নমুখী। এ বছরও অবস্থান বদলাতে পারেনি মেহেদি হাসান মিরাজের দল। ১১ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩টি। বিপরীতে ৭ হার আর একটি ম্যাচ টাই হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও হেরেছে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের কাছে। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে বছরটা ভালো কেটেছে। ৩০ ম্যাচে ১৪ হারের বিপরীতে ১৫ জয়, একটি ম্যাচে ফলাফল হয়নি। এর মধ্যে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে সুপার ফোরেও জায়গা করে নিয়েছিল টাইগাররা। টুর্নামেন্টের বাইরে মোট ৮টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে পাঁচটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রশংসা পেলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হারের তেতো স্বাদও নিতে হয়েছে।
তামিমের হার্ট অ্যাটাক ও ক্রিকেট মাঠে ২ জনের মৃত্যু
গত মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তামিম ইকবাল। ডিপিএলের ম্যাচে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সেই ম্যাচে টসের পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। অল্প সময়ের মাঝে দুবার হার্ট অ্যাটাক হয় তার। শুরুতে ঢাকায় আনার পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের কেপিজি হাসপাতালে। সেখানেই টানা সিপিআর, ডিসি শক দিয়ে কিছুটা স্থিতিশীল করা হয় তার অবস্থা। ঐ দিনই অপারেশন শেষে তামিমের হার্টে রিং পরানো হয়। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্যই সাভার থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। বাসায় ফিরে বেশ কিছু দিন বিশ্রাম করার পর এখন তিনি সুস্থ আছেন।

তামিম এ যাত্রায় বেঁচে ফিরলেও গত অক্টোবরে ক্রিকেট মাঠে মারা যান হাসান আহমেদ। জাতীয় লিগের দল বরিশালের ফিজিও হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। খুলনা-বরিশালের মধ্যকার এনসিএলের ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন হাসান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। ৪৭ বছর বয়সী এই ফিজিও খুলনায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।
গত ২৭ ডিসেম্বর বিপিএলের ম্যাচে মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে মৃৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ঢাকা ক্যাপিটালসের সহকারী কোচ মাহবুব আলী জাকি। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগমুহূর্তে ক্রিকেটারদের নিয়ে গা গরম করছিলেন জাকি। অনুশীলন সেশন পরিচালনার সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সিপিআর দেওয়া হয় এবং অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের আল হারামাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি তাকে। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়েছে এই কোচের।
তামিম-রিয়াদের বিদায়
ক্রীড়াঙ্গনে ঘটনাবহুল এই বছরে অনেকেই ক্রিকেট অধ্যায়ের ইতি টেনেছেন। কেউ পুরোপুরি ক্রিকেট ছেড়েছেন, কেউ বা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ব্যাট-প্যাড তুলে রেখেছেন। অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আন্তর্জাতিক ফরম্যাট থেকে অবসর নেন। তিনি ২০২১ সালেই টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন।

২০২৫ সালের ১০ জানুয়ারি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার মাধ্যমে পেশাদার ক্যারিয়ারের ইতি টানেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি ১৫ হাজার এর বেশি রান করেছেন। দেশের হয়ে ব্যাটিংয়ে বেশ কিছু রেকর্ডও আছে তার। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনারদের একজন ছিলেন তামিম।
নারী ক্রিকেটে ‘কেলেঙ্কারি’
বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে রীতিমতো 'বোমা' ফাটান জাহানারা আলম। এই পেসার এক সময় জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন। তবে বাজে পারফরম্যান্সের কারণ দল থেকে বাদ পড়ার পর গত কয়েক বছরে দলের রাডার থেকেও হারিয়ে যান তিনি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে ক্লাব ক্রিকেট খেলেন জাহানারা। নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া থেকে অনলাইনে বাংলাদেশি এক ইউটিউবারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়কসহ কোচিং স্টাদের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনেন জাহানারা।

নারী দলের সাবেক নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, প্রয়াত নারী দলের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ, ম্যানেজার ফাইয়াজ, আরেক কর্মকর্তা বাবু, কোচ ইমন, ক্রিকেটার জ্যোতি, পিংকি, নাহিদা ও রিতুমনি রয়েছে তার অভিযুক্তের তালিকায়। যার মধ্যে মঞ্জু এবং তৌহিদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও করেন জাহানারা। বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় বিসিবি অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। সর্বশেষ ৮ নভেম্বর জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের এসব বিষয় অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিসিবি। এই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির কনভেনর হিসেবে আছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি তারিক উল হাকিম। আর সদস্য হিসেবে আছেন বিসিবির পরিচালক রুবাবা দৌলা এবং বাংলাদেশ নারী ক্রীড়া সমিতির সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। তাদের তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বিসিবি।
টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে টেস্টে নামলেন বুলবুল
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও দেশ ছাড়েন। সেই তালিকায় ছিলেন বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। ফলে বিসিবি সভাপতি পদে শূন্যতা তৈরি হয়। তখন এনএসসি মনোনীত পরিচালক হয়ে সভাপতির পদে বসেছিলেন ফারুক আহমেদ। তবে এক বছরও টিকতে পারেননি তিনি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন সিংহভাগ পরিচালক। তাতে পরিচালক পদে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে এনএসসি। ফলে সভাপতির পদও হারান তিনি।

এরপর অন্তর্বতী সময়ে সভাপতির দায়িত্ব পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অল্প সময়ের দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেছিলেন, 'আমি টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছি।' তবে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসে এখন টেস্টে নেমেছেন বুলবুল। অন্তবর্তী দায়িত্ব শেষে ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া সর্বশেষ বিসিবি নির্বাচনেও অংশ নেন তিনি। তবে এ নির্বাচন ছিল বেশ বিতর্কিত। নির্বাচনের আগে তৃতীয় বিভাগ বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ বাতিল করে বিসিবির নির্বাচন কমিশন। ফলে সেই ক্লাবগুলো নির্বাচন বর্জন করে। এ ঘটনার জেরে বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবালসহ ১৬ প্রার্থী। অবশেষে নির্বাচন হলে সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বুলবুল। মজার ব্যাপার, যেই ফারুকের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তিনি এই নির্বাচনে ক্লাব কোটায় পরিচালক হয়েছেন। এর পর তাকে সহ-সভাপতিও করা হয়।
সাদা-মাটা স্ক্রিপ্টে নাটকীয় বিপিএল
এক সময় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও বিগ ব্যাশের পরই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। তবে গত কয়েক বছরে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড আর ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অপেশাদার আচরণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই লিগের জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ব্র্যান্ড ভ্যালু কিংবা দর্শক জনপ্রিয়তায় আইপিএল-বিবিএল তো দূরের কথা বিপিএলের পরে শুরু হওয়া পিএসএল, এসএ টি-টোয়েন্টি কিংবা আইএলটোয়েন্টির সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারছে না বাংলাদেশের সবচেয়ে গ্ল্যামারস এই ক্রিকেট লিগ। উল্টো দিন দিন কমছে বিপিএলের জনপ্রিয়তা।

বিপিএলের জৌলুস হারানোর পেছনে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অপেশাদারিত্বকেই দায়ী করা হয় বেশিরভাগ সময়। তাই চলমান বিপিএলের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের লিটমাস টেস্ট নেয় বিসিবি। কয়েক ধাপে সব শর্ত পূরণ করে শেষ পর্যন্ত ৫টি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দলের মালিকানা দেয় বোর্ড। কিন্তু এত কিছুর পরও বিতর্ক এড়াতে পারল না ইফতেখার রহমান মিঠুর নেতৃত্বাধীন বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিল। আসর শুরুর একদিন আগে আর্থিক সমস্যা দেখিয়ে বিপিএল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিক কাইয়ুম রশিদ। অল্প সময়ে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয় বিসিবি। যা এই লিগের ইতিহাসে প্রথম এবং সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা। অবশ্য এবারের আসরের নিলামের আগেও বিতর্ক হয়েছে। গত মৌসুমের বিপিএলের ফিক্সিং নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলেও সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে এবারের বিপিএলের নিলামে রাখেনি বিসিবি। এই তালিকায় নাম ছিল জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটার এনামুল হক বিজয়েরও।
ঢাকার ৪৫ ক্লাবের লিগ বর্জন
২৫ নভেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। মূলত বিসিবি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ৪৩ ক্লাব এই লিগ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিল। সেটি এখনও সমাধান হয়নি, ফলে শঙ্কা রয়ে গেছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট শুরু হওয়া নিয়ে। তবে বিসিবি এরই মধ্যে একাধিকবার ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছে। তবে কিছুতেই যেন ক্লাবগুলোর অভিমানের বরফ গলাতে পারছে না বিসিবি। সর্বশেষ ২৫ নভেম্বর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ক্লাবসমূহকে চা-চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিসিবি। বিসিবির পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়ন, খেলোয়াড়দের কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয় এবং পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি ঢাকার ক্লাবসমূহের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে বোর্ড একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক ও চা-চক্রের আয়োজন করেছে। তবে বিসিবির সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি ক্লাবগুলো।
এইচজেএস