রোমাঞ্চের পথ পাড়ি দিয়ে ড্র করল ভারত

রোমাঞ্চকর এক অধ্যায় যুক্ত হয়ে গেল ভারতের ক্রিকেটে। ব্যথা, ধৈর্য আর লড়ে যাওয়া; সময়ের প্রয়োজনে হয়ে ওঠা আক্রমণাত্মক। ঘুঁরে দাঁড়ানোর গল্পটা ভারতীয় ক্রিকেটে যেন লেখা হলো নতুন করে। ফিনিক্স পাখির গল্প অনেকেই বলেন, সেটা সত্যিকারার্থেই করে দেখালেন আজিঙ্কা রাহানেরা।
ম্যাচের চারদিন শেষেও যদি কেউ বলতেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনি টেস্ট ড্র করে ফেলবে ভারত, সেটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যেত তার নিজের মধ্যেই। আর কেউ যদি ভাবতেন, পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই ড্র করবে ভারত, তাহলে সেটা হতো নিছকই এক দূরের কল্পনা।
তবে কখনো কখনো কিছু কিছু গল্প ট্রেডমার্ক হয়ে যায়। সেটা লিখেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়া হনুমা বিহারি। পাঁজরের ব্যথায় কাতর রবীচন্দ্রন অশ্বিনরা। আগের দিন ভারতের সামনে প্রায় অসম্ভব ৪০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ভারত, তারা সেটা সম্ভব করতেও পারেনি।
তবে যেটা সম্ভব করেছেন, সেটাই বা কম কী! সিডনি টেস্টে জয়টা আসেনি ৬৯ রানের জন্য। ড্রটা এসেছে, কঠিন এক পথ পাড়ি দিয়ে। চতুর্থ দিনেই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমন গিলকে হারিয়েছিল ভারত। শেষদিনের শুরুতে চলে যান অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে।
১৮ বলে ৪ রান করে নাথান লায়নের বলে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে আসা ঋশভ পান্ত নিজেকে প্রমাণ করতে নামেন যেন। তাকে ঘিরে চারপাশে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল, উত্তর দেন তার সবকিছুর। যদিও সেঞ্চুরির আগেই ফিরেন সাজঘরে। ১১৮ বলে ১২ চারে ৯৭ রান করে, প্যাট কামিন্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে নাথান লায়নের বলে।
তার বিদায়ের পর চলে যান চেতেশ্বর পূজারাও। ১২ চারে ২০৫ বলে ৭৭ রান করে। এরপরের গল্পটা কেবল রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও হনুমা বিহারির। তাদের সংযমেই ড্রয়ের পথে কয়েক ধাপ এগিয়ে যায় সফরকারীরা। দুজনেই ছিলেন ইনজুরিতে।
তবুও দুজনেই থেকে গেছেন ক্রিজে। ১৬১ বলে ২৩ রান করে হনুমা ও ১২৮ বলে ৩৯ রান করে অশ্বিন। তাতেই লেখা হলো সত্যিকারার্থেই এক ফিনিক্স পাখির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ গল্প। ৩৬ এর ধ্বংসস্তুপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের ম্যাচেই জয়। এবার সিডনিতে রোমাঞ্চকর পথ পাড়িয়ে দিয়ে এই ড্র। নিশ্চয়ই অনেকদিন এই সিরিজ স্থায়ী হবে ভারতীয় সমর্থকদের মনে।
এমএইচ