ভালো অনুভব করছেন সাকিব

রাজকীয় প্রত্যাবর্তনের পর রৌদ্রজ্জ্বল আকাশে হঠাৎ কালো মেঘ। মুহূর্তেই অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট আকাশ। শঙ্কা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে চোট পান টাইগার অলরাউন্ডার। কুঁচকির চোটে আর মাঠে ফিরতে পারেননি তিনি। তবে বর্তমানে ভালো আছেন সাকিব।
২০১৯ সালে জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাব গোপন করার দায়ে সাকিবকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তদন্তে সাহায্য করা ও নিজের ভুল স্বীকার করে নেওয়ার জন্য দুই বছরের সাজা কমিয়ে এক বছর সকল ধরণের ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয় তাকে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে মুক্ত হয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রত্যাবর্তন হয় সাকিবের। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। সেখানে আগে ব্যাট করে ৫১ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। পরে বল করতে নেমে বিপাকে পড়েন তিনি।
ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান রভম্যান পাওয়েলকে নিজের পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বল করার সময় কুঁচকিতে টান লাগে তার। বলটি ছেড়েই ব্যথায় কাতর সাকিব মাটিতে বসে পড়েন। এরপর বেশ কিছুক্ষণ সাকিব মাঠেই সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করেন। আসেন ফিজিও জুলিয়ান ক্যালফেতোও। তবে সাকিব ওঠে দাঁড়িয়ে আর বল করার মতো অবস্থায় ফিরে যেতে পারেননি। পরে তাকে মাঠই ছাড়তে হয়।
সেই ম্যাচে আর ফিরতে পারেননি সাকিব। দলীয় সূত্র থেকে জানানো হয়েছিল, পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। মঙ্গলবার ঢাকা পোস্টকে সাকিবের সবশেষ অবস্থা জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক মনজুর হোসাইন চৌধুরী।
তিনি জানিয়েছেন আগের থেকে বর্তমানে ভালো আছেন সাকিব। তবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন কিনা, সেটি নিশ্চিত নয় এখনো।
মনজুর বলেন, ‘সাকিব আগের থেকে ভালো অনুভব করছেন। আমরা আজ (মঙ্গলবার) রাত পর্যন্ত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখবো। রাতে সিদ্ধান্ত হবে স্ক্যান করানো হবে কিনা। প্রথম টেস্টে খেলতে পারবে কিনা সেটি তো আসলে বলা মুশকিল। যদি স্ক্যানের সিদ্ধান্ত হয়, তবে সেটির ফলাফলের পরেই জানা যাবে প্রথম টেস্টে সাকিব খেলতে পারবেন কিনা।’
টিআইএস/এমএইচ