ডব্লিউএইচওর ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকারে নেই অলিম্পিক

করোনা মহামারি পুরো বিশ্বজুড়েই সবকিছু উলটপালট করে দিয়ে গেছে। বাদ থাকেনি ক্রীড়াঙ্গনও। অদৃশ্য এই ভাইরাসের কারণে পিছিয়ে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৩২তম অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এক বছর।
তবে চলতি বছরও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে সংকট কাটেনি। আয়োজক দেশ জাপানে বেড়েছে করোনার প্রকোপ। টোকিওতে অলিম্পিক আয়োজনে সম্মতি নেই দেশটির বেশির ভাগ মানুষেরই। তবে ইতোমধ্যেই চলে এসেছে করোনার ভ্যাকসিন। প্রয়োগ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের শরীরেও।
তবে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার অগ্রাধিকার তালিকায় অলিম্পিক নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির জরুরি স্বাস্থ্য সেবার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রেয়ান জানান এখনো সাধারণ মানুষের জন্যই যথেষ্ট পরিমাণে ভ্যাকসিন নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন বিশ্বের একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। প্রথম সারির যোদ্ধা, স্বাস্থকর্মী, সমাজের বৃদ্ধ ও দুর্বল মানুষদের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন আগে প্রয়োজন। এখন যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, তাদের জন্যও যথেষ্ট পরিমাণে ভ্যাকসিন নেই।’
তবে ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার না দিলেও টোকিওতে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য গাইডলাইন দেবে ডব্লিউএইচও। অলিম্পিককে মানবতার জন্য অনন্য এক নিদর্শন হিসেবেই দেখছেন মাইকেল।
তিনি বলেন, ‘এটা অলিম্পিককে অবহেলা করা নয় কোনোভাবেই, তাদের এটা আয়োজন করতে হবে। দারুণ একটা বিশ্ব ক্রীড়া আসর উদযাপন করতে পারবে সবাই। যেখানে সব দেশই আনন্দ ভাগাভাগি করতে আসে। মানবতার জন্য এই আসর দারুন এক নিদর্শন।’
এমএইচ