যে কৌশলে সফল সিলেটের পেসাররা

আবু জায়েদ চৌধুরি রাহী, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। তিনজনই পেসার, সবাই সিলেটের। আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডের ১৮ সদস্যের দলে। গত কয়েক বছর ধরেই এই তিনজন থাকছেন বাংলাদেশের টেস্ট দলের আশেপাশে।
আগামী তিন ফেব্রুয়ারি প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই ম্যাচে তাদের দেখা যেতে পারে একাদশেও। কেন সিলেটের পেসারদের এমন আধিপত্য জাতীয় দলে? শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আবু জায়েদ চৌধুরি রাহী।
তিনি বলেন, ‘সিলেট ডিভিশন যখন আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি তখন আমাদের অনেক গুরুত্ব দেয়। অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা তিনটা পেস বোলারই খেলছি, অনেক সময় বোলিং করছি। আমি আগেও বলেছি যত বেশি বোলিং করব তত বেশি শিখব।’
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজেদের সুযোগ করে দেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিলেট বিভাগকে। সঙ্গে রাহী মনে করিয়ে দিয়েছেন কেবল এটাই একমাত্র কারণ নয়। সুযোগ পাওয়াতে নিজেদের মধ্যে বেড়েছে প্রতিযোগীতা, অনুমিতভাবেই বেড়েছে পরিশ্রমের মানসিকতা। তাতেই মিলছে সাফল্য।
রাহী সেটা জানাচ্ছেন এভাবে, ‘এবাদত, খালেদ আগে যেমন ধরেন বেশি বোলিং করতে চাইতো না এখন যেটা হয়েছে আমরা যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি তখন আমরা চাই অনেক বোলিং করতে। নিজেদের ভেতরে একটা প্রতিযোগিতা আছে। এজন্য আমরা মনে করব যে আমরা এই তিন পেস বোলার বিশেষত টেস্টে আসার কারণ হলো সিলেট ডিভিশনে আমাদের গুরুত্ব।’
দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে রাহী বলেন, ‘সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে শেষ টেস্ট খেলেছিলাম তারপর প্রায় একবছর পর টেস্ট ক্রিকেট হইতাছে। হ্যাঁ, অনেক দিন অপেক্ষায় ছিলাম কারণ অনেক দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট হয় নাই। মাশাল্লাহ এখন আবার ক্রিকেট শুরু হইছে, টেস্ট ক্রিকেট শুরু হইছে। আমরা যদি শুরুটা ভালো করি তাহলে আমার কাছে মনে হয় আমাদের শুরুটা ভালো হবে।’
এমএইচ/এটি