আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে হেক্টর প্রতি হাইব্রিড ধানে ১৫ টন ও ইনব্রিডে ১০ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এসিআই লিমিটেড।

নিজস্ব উদ্ভাবিত ধানের গড় ফলন বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে অনেক বড় গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে দেশে ধান উৎপাদনেও বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে এসিআই। এরই অংশ হিসেবে গাজীপুরের মাওনাতে বুধবার (২১ এপ্রিল) এসিআইয়ের গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজান কবির।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস) একেএম মনিরুল আলম, অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (ঢাকা অঞ্চল) কৃষিবিদ বশীর আহম্মদ সরকার। কৃষির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গবেষণা মাঠ সম্পর্কে অবহিত করেন এসিআই সিডের বিজনেস ডিরেক্টর সুধীরচন্দ্র নাথ ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের চাষযোগ্য জমি দিন দিনই কমছে। বাড়ছে জনসংখ্যা। বাড়তি এ জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণে হাইব্রিড ধান চাষের বিকল্প নেই।

এসিআই এর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটিতে একদল চৌকস বিজ্ঞানী প্রিমিয়াম টাইপ লম্বা সুগন্ধি, ছোট সুগন্ধি ধান- কাটারিভোগ ও ছোট সুগন্ধি ধান- চিনিগুড়া, বেসিক টাইপ যেমন- আমন, বোরো ও স্বর্ণা এবং হাইব্রিড নিয়ে কাজ করছে। এর নেতৃত্বে আছেন কৃষিবিজ্ঞানী ড. মো. আব্দুস সালাম। ইতোমধ্যে এসিআই উন্নতমানের গবেষণার কাজ পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছে উচ্চমানের মলিকুলার ল্যাব, জিন ব্যাংক, গ্রিন হাউস ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন গবেষণা মাঠ। সেখানেই নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

এসিআই ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে পাঁচ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় সংস্থাটি উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল ইনব্রিড ধানের দুটি জাত রাবি ধান-১ ও বাউ ধান-৩ এবং হাইব্রিড ধানের একটি জাত। ইতোমধ্যে কৃষকপর্যায়ে চাষাবাদ হচ্ছে ধানগুলো। 

এছাড়াও বেশ কয়েকটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে এসিআই। যার মূল বৈশিষ্ট্য উচ্চ ফলনশীলের পাশাপাশি স্বল্প জীবনকালসম্পন্ন, জিংকসমৃদ্ধ, জলবায়ুসহিষ্ণু এবং ব্লাস্ট রোগ ও ব্যাক্টেরিয়াল ব্লাইট রোগ প্রতিরোধী। শিগগিরই উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো কৃষক পর্যায়ে দেওয়া হবে।

একে/ওএফ