বিকল্প ফসল চাষ করার মাধ্যমে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

সোমবার (১২ জুলাই) ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য উৎপাদনে করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা জানান। কৃষিমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে এখন ফসলের অনেক উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টা চাষের সম্ভাবনা অনেক। অনেক অপ্রচলিত অর্থকরী উচ্চমূল্যের ফসল ও ফল চাষেরও সুযোগ এখন তৈরি হয়েছে। তামাকের পরিবর্তে এগুলোর চাষ করে তামাকের চাষ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধেী জোট (বাটা) যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দেশে এখন তামাক চাষ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তামাক চাষের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো গবেষণা পরিচালনা করা হয় না। মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তুকি প্রদান ও কোনো রকম সহযোগিতাও প্রদান করা হয় না। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বিকল্প ফসলের চাষে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের কৃষি জমির একটি বড় অংশে তামাক চাষ হয়। এসব জমিতে খাদ্য শস্য চাষ করা হলে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও উদ্বৃত্ত খাদ্য রফতানির মাধ্যমে দেশের রফতানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে, তামাক চাষ কৃষি জমির উর্বরতা নষ্ট এবং কৃষক ও কৃষকের পরিবারের স্বাস্থ্যহানিসহ আশেপাশের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ।

ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন টিসিআরসির প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, পিকেএসএফের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের হেডস অব প্রোগ্রামস মো. শফিকুল ইসলাম, সিটিএফকের লিড পলিসি অ্যাডভাইসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ, উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতারসহ অনেকে আলোচক হিসেবে ওয়েবিনারে অংশ নেন।

একে/এসকেডি