কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

দেশের শাকসবজি, আলু ও ফলমূল রফতানির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন। 

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন ফসল ও খাদ্য এখন উদ্বৃত্ত থাকে। এসব ফসল সারা পৃথিবীতে আমরা রফতানি করতে চাই। সে জন্য রফতানির বাধাগুলো দূর করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমাদের প্রস্তুতি প্রায় সমাপ্ত। গত এক বছরে কৃষিপণ্যের রফতানি অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সামনের দিনগুলোতে রফতানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপের ওপর মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। 

কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় গত জুনে কমিটি গঠন করে। এই কমিটি শাকসবজি, ফলমূল রফতানির জন্য একটি ও আলু রফতানি জন্য একটি মোট দুটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করে।

সভাপতির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি করতে পারলে একদিকে কৃষকেরা লাভবান হবে। অন্যদিকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। ওই লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতর সংস্থার প্রতিনিধি, রফতানিকারক, প্রক্রিয়াজাতকারী ও কৃষক প্রতিনিধিরা মতবিনিময় করেন।

এ সময় শাকসবজি, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপনা করেন কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ রাজু আহমেদ এবং আলু রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের গবেষণা সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ড. মো. রেজাউল করিম।

উল্লেখ্য, খসড়া রোডম্যাপ উপস্থাপনায় তারা শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান প্রধান সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি তা সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ প্রস্তাব করেন। এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষিপণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ২০২১-২২ সালে ১.৬৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (সম্ভাব্য) এবং ২০২২-২৩ সালে (জুন পর্যন্ত) ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (সম্ভাব্য) আয় করা সম্ভব হবে। আলু রফতানির ক্ষেত্রে ২০২২ সালে ৮০ হাজার টন, ২০২৩ সালে ১ লাখ ২০ হাজার টন, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার টন আলু রফতানি করা সম্ভব বলে খসড়া রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসআর/ওএফ