বর্তমানে আমাদের দেশে মোটরসাইকেল এখন আর শুধু শখের বাহন নয় বরং এটি এখন অনেকের নিত্যদিনের প্রয়োজনে বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর তাই মোটরসাইকেলের দীর্ঘস্থায়ী কর্মক্ষমতা ও ভালো পারফরম্যান্স বজায় রাখতে নিয়মিত সার্ভিস করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অধিকাংশ চালকই মোটরসাইকেলের নিয়মিত সার্ভিসিংয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন নন। 

অনেকেই মনে করেন, যতদিন মোটরসাইকেলে সমস্যা না হচ্ছে, ততদিন সার্ভিস করানোর দরকার নেই। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। সময়মতো সার্ভিস না করালে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত সার্ভিস করালে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ভালো থাকে, মাইলেজ বাড়ে এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমে। 

চলুন জেনে নেয়া যাক কতদিন পরপর মোটরসাইকেল সার্ভিস করানো উচিত- 

নতুন মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে :  প্রথম ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করার পরই প্রথম সার্ভিস করানো উচিত। এরপরে সাধারণত ২০০০-২৫০০ কিলোমিটার ব্যবধানে নিয়মিত সার্ভিস করানো ভালো। তবে ইঞ্জিনের ধরন, মোটরসাইকেলের সিসি এবং চালানোর ধরন অনুযায়ী এই সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারে। 

পুরোনো মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে :  প্রতি ৩,০০০-৫,০০০ কিলোমিটার অন্তর সার্ভিস করানো উচিত। দীর্ঘদিন সার্ভিস না করলে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে। ব্রেক, চেইন, ক্লাচ ও সাসপেনশনের অবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। 

যা যা সার্ভিসিংস করানো উচিত : ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন, এয়ার ফিলটার পরিষ্কার বা পরিবর্তন, চেইন সেট ও টায়ার চেক, ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষা, ব্যাটারি চেক, ক্লাচ, গিয়ার ও অন্যান্য চলন্ত অংশের অবস্থা পরীক্ষা। নিয়মিত সার্ভিস করালে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স ঠিক থাকে, ফুয়েল খরচ কম হয় এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও হ্রাস পায়। 

এমবি/এমআইকে