বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য চারটি উড়োজাহাজ লিজ নিয়েছে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রা। অক্টোবর মাসেই দেশের আকাশে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় কোম্পানিটি।

এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এয়ার অ্যাস্ট্রা ৪টি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের প্লেন লিজ নিয়েছে। প্রথম প্লেনটি আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে আসবে। আশা করছি, অক্টোবর মাসের শেষের দিকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা।

তিনি আরও বলেন, যাত্রা শুরুর প্রথম দিন থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের প্রতিটি বিমানবন্দরেই ফ্লাইট চালাবে এয়ার অ্যাস্ট্রা।

এদিকে শাহজালালে স্থান সংকট হওয়ায় এয়ার অ্যাস্ট্রাকে আপাতত ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পার্কিং স্টেশন করতে বলেছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি চেয়েছে ইজিপ্ট এয়ার

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। অ্যাপ্রোনে উড়োজাহাজ পার্কিংয়ে স্থান সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আপাতত বেজের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে কার্যক্রমে আসতে চাইলে এয়ার অ্যাস্ট্রাকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যে কোনো একটাকে বেছে নিতে হবে।

এর আগে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্তি ও ফ্লাইট পরিচালনার আবেদন জমা দেয় এয়ার অ্যাস্ট্রা। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তারা এনওসি পায়। প্রাথমিকভাবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করলেও করোনা পরিস্থিতি এবং বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ রাখার স্থান সংকটের কারণে অপারেশনে দেরি হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন : মদ চেয়ে বিমানের টরন্টো ফ্লাইটে যাত্রীর হইচই

বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

এআর/এসকেডি