ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম

গতকাল (২৭ আগস্ট) মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাক হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২২ ফ্লাইটের পাইলটের। তখন ফ্লাইটটি ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে। সেটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম।

নওশাদ ও তাঁর ফার্স্ট অফিসারের কারণে জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটি প্রথম নয়। ৫ বছর আগে এভাবেই আরও ১৪৯ যাত্রী আর ৭ ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন ছিলেন নওশাদ। সেই ফ্লাইটটি মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেনকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা  সম্ভবত বিমান এয়ার ক্রাফটের হতে পারে।

সুযোগ সুবিধা বেশি থাকায় ও যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে নওশাদ ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। অবতরণের আগে ক্যাপ্টেন ফ্লাইটটি নিয়ে রানওয়ের উপরে ‍দুইবার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে ক্যাপ্টেন নওশাদ উঁচু মানের দক্ষতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহই নিরাপদে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করাতে সক্ষম হন।

এই ঘটনার পর ২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।

ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৬টায় ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ফ্লাইটটি ঢাকায় না ফিরে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ প্রচণ্ড বুকে ব্যাথা অনুভব করায় তিনি তাঁর ফার্স্ট অফিসারকে বিষয়টি জানান এবং আশপাশে কোথাও জরুরি অবতরণ করতে বলেন। যাত্রীদের ঝুঁকি এড়িয়ে তারা সফলভাবে ফ্লাইটটিকে নাগপুরে অবতরণ করান।

এআর/এমএইচএস