বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশগামী বা আগত কোনো যাত্রীর কাছে মাদক পাওয়া গেলে চিরদিনের জন্য তার বিদেশগমন বন্ধ হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।

সোমবার (৪ অক্টোবর) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভিযোগ নিয়ে করা গণশুনানিতে এ কথা জানান বেবিচক চেয়ারম্যান।

চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেখছি বিভিন্ন বিমানবন্দরে মাদক-পাচার বেড়েছে। এসব প্রতিহত করতে হবে, আমাদের সবাইকে মিলে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক পাওয়া গেলে চিরদিনের জন্য বিদেশে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিজস্ব লাগেজ ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে কিছু নেবেন না। আমরা দেখছি, অনেকের লাগেজে মাদক পাওয়া যাচ্ছে। অনেক যাত্রী দাবি করেন, স্বজন মালামাল পাঠানোর নামে মাদক ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এই ধরনের বক্তব্য আমরা গ্রহণ করব না। আপনারা সচেতন হবেন, যাতে কেউ ভুক্তভোগী না হন।

যাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিমানবন্দরে আসার আহ্বান জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, যাত্রীদের ফ্লাইটের কমপক্ষে আট ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে আসতে হবে। তাহলে এ সময়ে করোনা টেস্টসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করা যাবে।

আগের দুই গণশুনানির সমস্যা সমাধান করা হয়েছে জানিয়ে এম মফিদুর রহমান বলেন, গত দুই গণশুনানিতে যেসব সমস্যা পেয়েছি। সেগুলো সমাধান করা হয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সি নিয়ে অনেক অভিযোগ ছিল, সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। আর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যাপারেও আমরা সিরিয়াস। বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাত্রী সেবার মান আরও বাড়াতে।

বেবিচকের তথ্য মতে, গণশুনানিতে ১৪ প্রবাসী তাদের সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরেন। যাত্রীদের একজন অভিযোগ করেছেন, টাকা না দিলে বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ করেন না। টাকা দিলে পণ্য ছাড়করণের সিরিয়াল আগে দেওয়া হয়। এছাড়াও ফ্লাইট মিস হলে টিকিট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীদের কোনো সহযোগিতা করে না।

যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, সম্প্রতি বিদেশ যাওয়া যাত্রীদের ক্ষেত্রে আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা, এয়ারলাইন্স সংক্রান্ত সমস্যা, ট্রাভেল এজেন্সির প্রতারণা, টিকিটের সময় থাকা সত্ত্বেও নতুন করে টিকিট কাটার জটিলতা, সময়মত বিমানবন্দরে না আসা ইত্যাদি বিষয় শনাক্ত করেছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

গণশুনানিতে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এআর/এসকেডি