বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্মান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশন বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকার জাপান দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন হিরোউকি ইয়ামায়া এবং সুমিতমো কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার শিনিচি নাগাতা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন সুমিতমো কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স) মো. শফিউল্লাহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক ও দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করায় তিনি সুমিতমো কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানান। উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে।

স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাপান সরকারের সহযোগিতার কথা তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রথম বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণির বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন— মতিয়া নূর রাইসা (জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি), আহমেদ আদনান (আই.আই.টি), মাজহারুল ইসলাম (ইসলামিক স্টাডিজ), মো. রেদওয়ানুল ইসলাম (গণিত), আরিফা হক (পদার্থ বিজ্ঞান), মাইকেল সাগর সরকার (আইন), মো. কামরুল হাসান রাব্বি (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস), ত্রিশা নন্দী (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস), আব্দুল মুহাইমিন (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) এবং আপেল চন্দ্রো (মনোবিজ্ঞান)।

দ্বিতীয় বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণির বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন— বুশরা জাহান (ইংরেজি), রেসমা আক্তার (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), নুজহাত নুয়েরি খান (গণিত), রুবাইয়া ইসলাম (আইন), ফজলে আজম (আইন), সালমা আক্তার ঝুমা (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস), মো. তৌহিদুল ইসলাম (অর্থনীতি), ফরহাদী আনোয়ার (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ), আজফা তৌহিদা দৈবী (ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স) এবং মোছা. সিফাত-ই-সুলতানা (শিক্ষা ও গবেষণা)।

তৃতীয় বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণির বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন— রুবাইয়াত হাসান শাওন (আইন), মো. সোহানুল ইসলাম (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস), মোহাইমিনুল হক (মার্কেটিং), মো. রাকিবুল ইসলাম ও মো. চঞ্চল মাহমুদ (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস), মোসাম্মদ ফাতিহা খাতুন (অর্গানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ), বুশরা রহমান ও তানজিলা আকতার (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ), মো. আরিফুল ইসলাম (লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি) এবং সায়মা আলম (পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান)।

চতুর্থ বর্ষ স্নাতক সম্মান শ্রেণির বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন— জান্নাতুল ফেরদৌস (ফিন্যান্স), মো. রাসেল মিয়া (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস), মো. আসিফুল ইসলাম (অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস), সানজিদা ইসলাম (মার্কেটিং), কুমারী রত্না রানী (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস), খন্দকার ডাকি মো. সাদি (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ), ইয়াসিফ আহমেদ (দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা), মো. আবুল কালাম আজাদ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং), মীর মোহাম্মদ মহসীন কবির (নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং নওয়ারা মাহমুদ ব্রতী (রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং)।

এইচআর/এসএসএইচ