ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষ উপলক্ষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ‘শতবর্ষের মিলনমেলায়’ ১০০ গুণীজনকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ১৬টি ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাবি কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা পেলেন যারা

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা পর্বে ব্যক্তিত্ব ক্যাটাগরিতে স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগ, সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, নবাব খাজা সলিমুল্লাহ এবং শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক; রাজনৈতিক ক্যাটাগরিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ এবং মো. জিল্লুর রহমান।

উপাচার্য ক্যাটাগরিতে এ. এফ. রহমান, রমেশচন্দ্র মজুমদার, আবু সাঈদ চৌধুরী, মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী এবং সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে খান বাহাদুর নাজির উদ্দিন আহমেদ এবং মুহাম্মদ সিদ্দিক খান। ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আ ন ম গাজীউল হক, আবদুল মতিন এবং কাজী গোলাম মাহবুব; আন্দোলনে শহীদ ক্যাটাগরিতে আবুল বরকত, আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং ড. শামসুজ্জোহা।

শহীদ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্যাটাগরিতে অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, মুহম্মদ আনোয়ার পাশা, আবুল খায়ের, মো. আব্দুল মুক্তাদির, আতাউর রহমান খান খাদিম, আ. ন. ম ফয়জুল মহী, আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মোহাম্মদ সাদত আলী, এ. এন. এম মুনিরুজ্জামান, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, গোবিন্দচন্দ্র দেব, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য, সিরাজুল হক খান, এস. এম. এ. রাশীদুল হাসান, শরাফত আলী, ফজলুর রহমান খান, ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা, মোহাম্মদ সাদেক এবং মধুসূদন দে।

শিক্ষাবিদ ক্যাটাগরিতে সত্যেন্দ্রনাথ বসু, আনি মহামেদ হবিবুল্লাহ, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী মোতাহার হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, নীলিমা ইব্রাহীম, আহমদ শরীফ, প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সরদার ফজলুল করিম, এ কে নাজমুল করিম, এ এফ সালাহউদ্দিন আহমেদ, খান সারোয়ার মোর্শেদ, মমতাজুর রহমান তরফদার, আজিজুর রহমান মল্লিক, মুহম্মদ আবদুল হাই, মো. রফিকুল ইসলাম, আবুল হুসেন, আনিসুজ্জামান এবং আবদুল করিম।

নারী ক্যাটাগরিতে লীলা নাগ, ফজিলাতুন্নেছা এবং করুণাকণা গুপ্তা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে মোকাররম হোসেন খন্দকার, আবদুল্লাহ আল মুতি শরফুদ্দীন, এ.এম হারুন-অর-রশীদ এবং দ্বিজেন শর্মা; সাহিত্য ক্যাটাগরিতে পল্লীকবি জসীম উদদীন, শামসুর রাহমান, হাসান হাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন আল আজাদ, শওকত আলী, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, সৈয়দ শামসুল হক, বুদ্ধদেব বসু, নলিনীকান্ত ভট্টশালী এবং মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে জহির রায়হান, আলমগীর কবির, তারেক মাসুদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, সেলিম আল দীন, ওয়াহিদুল হক এবং মোবারক হোসেন খান। ক্রীড়া ক্যাটাগরিতে কাজী আবদুল আলীম। শিল্পকলা ক্যাটাগরিতে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, কাইয়ুম চৌধুরী, মোহাম্মদ কিবরিয়া, সফিউদ্দিন আহমেদ এবং মুর্তজা বশীর।

সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে আতাউস সামাদ, সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, শহীদুল্লা কায়সার এবং গিয়াস কামাল চৌধুরী। কূটনৈতিক ক্যাটাগরিতে এম. হোসেন আলী এবং শাহ এ. এস. এম. কিবরিয়া এই মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন।

এইচআর/আইএসএইচ