ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ছাত্রীদের জন্য নামাজের স্থান বরাদ্দের দাবিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তাদের এ দাবিকে ভালো বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন উপাচার্য।

ছাত্রীদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, নামাজের স্থানের বিষয়ে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী এসেছিল। তারা টিএসসিতে নামাজের স্থান চায়। এটা খুব ভালো একটা বিষয়। যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় তো নামাজ পড়া যায় না, তার জন্য জায়গা দরকার। তারা সে পরামর্শ দিয়েছে। এটি কঠিন কোনো বিষয় নয়। চাইলে যেকোনো সময় করা যাবে।

অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, মেয়েদের নামাজের জন্য টিএসসির কোথাও সুযোগ করতে পারলে ভালো হবে। টিএসসি সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য, সেখানে যদি একটু সুযোগ রাখা যায় উত্তম হবে। টিএসসির পরিচালক সাহেবকেও বিষয়টি জানিয়েছি। মেয়েরা যদি নামাজ পড়তে চায়, তাহলে কোথায় একটা পর্দা টানিয়ে দিয়ে সে ব্যবস্থা করা যাবে। এছাড়া যারা কোনো অনুষ্ঠান করবে তারাও মেয়েদের জন্য এই সুযোগটা রাখতে পারে।

এ বিষয়ে টিএসসি পরিচালক সৈয়দ আলী আকবর ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্মারকলিপির একটা অনুলিপি আমিও পেয়েছি। উপাচার্য মহোদয় যেভাবে পরামর্শ দেবেন সেভাবে আমরা করব। এছাড়া টিএসসিকে নতুন করে নির্মাণের যে পরিকল্পনা হয়েছে সেখানে মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে ওজু ও নামাজের জন্য জায়গা রাখা হয়েছে।

এর আগে আজ দুপুরে এ দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্যকে একটি স্মারকলিপি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নামাজের জায়গার সংকট রয়েছে। কেন্দ্রীয় মসজিদে নারী শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায় করার জায়গা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসমূহের কমনরুমগুলোও বিকেল ৫টায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ের পর ক্যাম্পাসে অবস্থানরত নারী শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায় করার কোনো জায়গা থাকে না। টিএসসিতে ছেলেদের জন্য নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও মেয়েদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। 

এইচআর/এসকেডি