মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটার প্রত্যাশা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘নতুন বছর আমরা শোভাযাত্রার মাধ্যমে বরণ করি। নতুন বছর আমাদের প্রত্যাশা হলো- উন্নয়নের ধারা যেন চলমান থাকে, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটে, মানুষের মাঝে মানবিক ও সম্প্রীতির বন্ধন যেন সুদৃঢ় হয়।’
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই বছর পর পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান তার চিরাচরিত ছোঁয়া ফিরে পেয়েছে। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত উৎসব। এই উৎসব সব জনগোষ্ঠী, সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষের একটি প্রাণের, সাধনার ও সম্পৃক্ততার। ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব ও আমেজ সবার।’
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, শুভ নববর্ষ! মঙ্গল শোভাযাত্রা ১৪২৯-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের মঙ্গল কামনা করছি। এই মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এটি শুধু ঢাকায় নয়, জেলা ছাপিয়ে ৪৯৩টি উপজেলায় মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে। দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করছি।
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে ডিএমপি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ডিএমপি সর্বদা প্রস্তুত। আমাদের সাদা পোশাক আছে, সোয়াট আছে, ইউনিফর্মের লোকজন আছে, টেকনিক্যাল সাপোর্ট আছে, সিসিটিভি সাপোর্ট আছে, ব্যারিকেড আছে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ওয়াচ টাওয়ার আছে। সবমিলে আমরা পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়াসহ চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল ৯টা ১ মিনিটে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ, কাঠামো ও প্রতীক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
শোভাযাত্রা টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বরের স্মৃতি চিরন্তন হয়ে আবার টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
এইচআর/এমএইচএস