শহীদ মিনার বেদিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষের ফটোসেশন

কোভিডজ‌নিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাস্ক ছাড়া এবং পাচঁজ‌নের বেশি লোক প্রবেশে ‌নি‌ষেধাজ্ঞা দি‌য়ে নি‌জেরাই মানে‌নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শহীদ মিনারের বে‌দি‌তে দাঁড়িয়ে ছ‌বি তু‌লতে দেখা যায় তাদের। এ নিয়ে বেশ সমালোচনাও শুরু হয়েছে।

একুশের প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ফটোসেশনে মেতে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টররা। সেখানে কেউ সামাজিক দূরত্ব মানেননি। এছাড়া শহীদ মিনারে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি না আসার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেটিও উপেক্ষা করেছেন তারা। বেশিরভাগের মুখেই ছিল না মাস্ক।

উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যের সঙ্গে ফটোসেশন করেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, সহকারী প্রক্টর লিটন কুমার সাহা, সীমা ইসলাম, বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, নাজির খান খোকন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার শিকদার, উপাচার্যের প্রটোকল অফিসার আহসান কবির মল্লিক প্রমুখ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, অনেকের ভিড়ে এ কাজ হয়ে গেছে। আর আম‌রা প্রত্যেকেই টিকা নিয়ে‌ছি। ঐ জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

কোভিড পরিস্থিতিতে এবার মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সীমিত পরিসরে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয় অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং উপ-কমিটি। 

নির্দেশনার অংশ হিসেবে আগত সবাইকে অবশ্যই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও মাস্ক পরিধান করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়। এ বিষয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আরএইচ