চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, আমাদের মেয়ে লাঞ্ছিত হয়েছে, আমরা এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেব না। কাজ চলছে। কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধী যেই হোক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রীদের রাত ১০টার মধ্যে হলে প্রবেশের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, এটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা এতো আন্দোলন কেন করছে জানি না। অথচ এখনো এই বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়ে আলাপ হয়েছে শুধু। তবুও শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান, তাদের দাবিগুলো চার কর্মদিবসের মধ্যে সমাধান করা হবে।

এদিকে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনার বিচার দাবি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ক্লাস বর্জন করে প্রথমে বিজ্ঞান অনুষদ ও পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একত্রিত হন।

এর আগে বুধবার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রীরা। এ সময় চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার শর্তে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা। 

গত রোববার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল সংলগ্ন এলাকায় পাঁচজন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যৌন নিপীড়নের এ ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। 

রুমান হাফিজ/আরএআর