চবিতে ছাত্রী হেনস্তা : জড়িতদের গ্রেপ্তারে মধ্যরাতে হলে তল্লাশি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তল্লাশির সময় উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ১টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে শাহ আমানত হলে তল্লাশি চালানো হয়। জড়িতদের একজন হলে অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়।
বিজ্ঞাপন
তল্লাশি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারই অংশ হিসেবে হলে তল্লাশি চালানো হয়। তবে এ সময় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ পর্যন্ত জড়িত দুইজনকে শনাক্ত করা গেছে। আশাকরি অন্যদেরও দ্রুত শনাক্ত করা যাবে। ওই ছাত্রীর তথ্যে এবং জায়গার কথা ভুল থাকায় চিহ্নিত করতে কিছুটা সময় লাগছে।
এ দিকে পুলিশ এবং প্রক্টর সূত্রে জানা যায়, শনাক্তকৃত একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরেকজন ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। দুজনই শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের কর্মী এবং সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারী হিসাবে পরিচিত।
এর আগে গত রোববার (১৭ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা হল সংলগ্ন এলাকায় ৫ জন দুর্বৃত্তের হাতে শারীরিক হেনস্তার শিকার হন এক ছাত্রী। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা তার বন্ধুকেও মারধর করা হয়৷ ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। পরে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিলে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া জড়িত ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলাও করেছেন ওই ছাত্রী। যৌন নিপীড়নের এ ঘটনার জেরে ছাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরইমাঝে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের হলে প্রবেশের ব্যাপারে সময়সীমা বেঁধে দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ক্ষোভ দেখা দেয়। ছাত্রী হেনস্তা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিনভর শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ এবং প্রগতিশীল ছাত্রজোট মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করে।
রুমান হাফিজ/আইএসএইচ