বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ফের ছাত্ররাজনীতি চালু এবং সদ্য প্রত্যাহার হওয়া বরগুনার আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতাদের একাংশ।

এছাড়াও মানববন্ধন থেকে বুয়েটে যারা শোক দিবসবিরোধী স্লোগান দিয়েছে তাদের একাডেমিকভাবে বহিষ্কার, রাষ্ট্রবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার, বরগুনার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত, আহতদের চিকিৎসা, জড়িত পুলিশদের বরখাস্তের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামিম বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির আস্ফালনে আমরা ব্যথিত, ক্ষুব্ধ। বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ আস্ফালন দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বুয়েট ছাত্রলীগের সনি ও দ্বীপ হত্যায় তথাকথিত সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে আমরা বিচার চাইতে দেখিনি। আবরার হত্যার ঘটনা এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। কিন্তু এটিকে পুঁজি করে সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে সেখানে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করতে হবে। বরগুনায়ও ঠুনকো অজুহাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ বলেন, একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মতো নিন্দনীয় ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আপনার মাথায় যদি ব্যথা হয় তাহলে মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান হতে পারে না। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি পুনরায় চালু করতে হবে। আর বুয়েটে ১৫ আগস্টের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ কেউ বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের জবাবদিহি করতে হবে। তারা দায়ভার এড়াতে পারে না।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি চঞ্চল কর্মকার বলেন, বরগুনার ঘটনা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, এটা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি সাবেক ছাত্রদল নেতা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে বদলি নয় তাকে বরখাস্ত করতে হবে এবং এসপিকে ওএসডি করতে হবে।

বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কামাল খানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি সোহান খান, উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসান পিয়াল, সাহিত্য বিষয়ক উপ সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বী, সাবেক উপ-সম্পাদক লতিফুল ইসলাম।

এইচআর/এসকেডি