জালিয়াতি করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিচেষ্টার অভিযোগে সৈয়দ আব্দুস সামি (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জালিয়াতি করে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় তিনি ১১৬তম হন। 

সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন সামি। এরপর সন্ধ্যায় তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। 

আটক সৈয়দ আব্দুস সামির গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায়। তিনি উপজেলার ১২ নম্বর আছিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শাহাবুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সামি বলেন, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিলের সঙ্গে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে জাবিতে চান্স পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি হয়। পরে শাকিলের মাধ্যমে বুয়েটের শিক্ষার্থী মাহফুজ আমার পক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেন।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ‘বি’ ইউনিটে আমার মেধাক্রম হয় ১১৬। ফলে চুক্তি অনুযায়ী দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা পরিশোধ করি। বাকি ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মাহফুজকে দেওয়ার কথা বলে শাকিল জমা নিয়েছে। 

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবার হোসেন বলেন, সৈয়দ আব্দুস সামি নামে ওই শিক্ষার্থীর হাতের লেখার সঙ্গে তার ভর্তি পরীক্ষার ওএমআর শিটে লেখার অমিল পাওয়া যায়। ফলে তাকে সন্দেহ হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, নিরাপত্তা শাখায় এনে সৈয়দ আব্দুস সামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সে প্রথমে জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে। যদিও পরে জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে। তার মুঠোফোন জব্দ করে জালিয়াতি চক্রের কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আলকামা/আরএআর