কবি নজরুলের দর্শন ও চেতনা সর্বদা অনুপ্রাণিত করে : উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অসাধারণ সাহিত্য সম্ভার ও সৃষ্টিকর্ম আমাদের অমূল্য সম্পদ। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সাম্প্রদায়িকতা, অমানবিকতা, অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা ও অশুভ শক্তি মোকাবিলায় কবি নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা সবসময় রয়েছে।

‘তিনি আমাদের অফুরান প্রেরণার উৎস। তার দর্শন ও চেতনা সব শ্রেণির মানুষকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করে।’

শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

কাজী নজরুলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে আখতারুজ্জামান বলেন, ১৯৭২ সালে কবি কাজী নজরুলকে বাংলাদেশে এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেন। তাই কবি নজরুলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম চলে আসে।

তিনি বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, সাম্য ও প্রেমের কবি। উপাচার্য এসময় নজরুলের অনবদ্য সৃষ্টিগুলোর নিয়মিত চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও বেগবান করতে শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকীন) বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী। সঞ্চালন করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক।

এর আগে কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সোয়া ৭টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন। এছাড়া, বাদ ফজর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়ায় কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়।

এইচআর/এমএইচএস