জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দশ দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের দাবি জানান। 

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাসের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ক্যাম্পাসের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে তারা ঢাকা জেলা প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন 

শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের কাজ প্রধানমন্ত্রীর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা, প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরবর্তী নির্মাণ কাজ শেষ করা, ক্যাম্পাসের কাজে নগ্ন হস্তক্ষেপ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনকে গ্রেপ্তার, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও অবিলম্বে পুলিশের থানা বাস্তবায়ন, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো আগে সম্পন্ন করা। 

এ ছাড়াও রয়েছে, লেক নির্মাণের টেন্ডারে অনিয়ম হলে সুষ্ঠু তদন্ত করা, জরিপের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ২০০ একর জমি নিশ্চিত করা, প্রকল্পে ছাত্র প্রতিনিধি যুক্ত করা বা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকল্পের সকল তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান নতুন ক্যাম্পাস তথা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে করার ব্যবস্থা করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজ আন্দোলন ছাড়া আদায় করা সম্ভব নয়। আমাদের অগ্রজদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমির ওপর নতুন ক্যাম্পাসের জন্য বরাদ্দ দেন। কিন্তু সেই ক্যাম্পাসেও ভূমিদস্যু স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের নজর পড়েছে। তাকে যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। মানববন্ধন শেষে তারা মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।

এদিকে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের লেক নির্মাণের কাজ বাতিল করে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার দুপুরে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীদের আরেকটি পক্ষ।

লিমন/এআর/আরএইচ