ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানা রকম হয়রানি বন্ধ ও ৮ দফা দাবিতে আমরণ অনশনরত ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবার মাঠে নেমেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। এসময় মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

এসময় শিক্ষার্থীদের- হাসনাত যখন অনশনে, ভিসি কেন এসি রুমে; আমরা আপনার সন্তান, সহজ সমাধান দিয়ে যান; অভিযোগের দরকার নেই, সহজ সমাধান দিয়ে যান; লাল ফিতার দূরত্ব, বন্ধ কর বন্ধ কর; জেগেছে রে জেগেছে, ঢাবি জেগেছে; এক দফা এক দাবি, মানতে হবে মানতে হবেসহ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

তারা বলছেন, প্রায় ২৫ ঘণ্টা অনশন করে হাসনাত আব্দুল্লাহ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক একবারও দেখতে যাননি। তিনি লাঞ্চ নিয়ে ব্যস্ত আছেন, মিটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন। একজন ছাত্রের জীবনের চেয়ে কী তার কাছে এসব বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

তারা আরো বলেন, হাসনাত ডিজিটাল যুগে সনাতনী পদ্ধতি ও ছাত্র হয়রানি বন্ধের দাবিতে ৮ দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছে। এটা তার একার দাবি নয়, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। তার শারীরিক অসুস্থতাসহ সংশ্লিষ্ট যেকোনো সমস্যার জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষকে এর দায়ভার নিতে হবে। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

গত ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে আট দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন হাসনাত। সেসময় তিনি উপাচার্যকে  স্মারকলিপি এবং দাবি পূরণে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ফের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। আর আজ উপাচার্যের কাছ থেকে আশ্বাস না পেয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন।

এইচআর/এমএইচএস