ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আত্মহত্যা প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এক্ষেত্রে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। বিষণ্ণতার কারণগুলো নির্ণয় করে শিক্ষার্থীদের মানসিক সাহস জোগাতে হবে।

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস- ২০২২ উপলক্ষে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এডুকেশনাল ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, অ্যাসোসিয়েশন অব থেরাপিউটিক কাউন্সেলরস, বাংলাদেশ (এটিসিবি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রিক বিভাগ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কর্মের মাধ্যমে করি আশার জাগরণ’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রিক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও এটিসিবি’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ঝুনু শামসুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইক্রিয়াটিস্ট’র প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, এডুকেশনাল ও কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহীন ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মেহজাবিন হক এবং বিএসএমএমইউ’র সাইকিয়াট্রিক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম এ সালাহউদ্দিন কাওসার ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাহিদ মাহজাবীন মোরশেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এটিসিবি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সুলতানা আলজিন।

বিভিন্ন কারণে কিশোর ও তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যেসব কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে, সেগুলো নিয়ে বিস্তর গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিষণ্নতার কারণগুলো নির্ণয় করে শিক্ষার্থীদের মানসিক সাহস জোগাতে হবে। তাদের কাজের মধ্যে সম্পৃক্ত রাখতে হবে, পড়াশুনার পাশাপাশি শিল্প, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ সহ শিক্ষাকার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কাজে সম্পৃক্ত করাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ‘স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

আত্মহত্যা প্রতিরোধে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ানোসহ শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টরা এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এইচআর/এসএসএইচ