ইরানে চলমান নারী আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে শাহবাগে সমাবেশ
ইরানে চলমান নারী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে শাহবাগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ নামের একটি প্লাটফর্ম এ সমাবেশের আয়োজন করে।
শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ প্লাটফর্মের অন্যতম সংগঠক আকরামুল হকের সভাপতিত্বে এবং যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুমের সঞ্চালনায় সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, কমিউনিস্ট পার্টির নারী সেলের অন্যতম সংগঠক রুনা নুর, ফৌজিয়া খন্দকারসহ বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মী এবং বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের নেত্রীরা বক্তব্য রাখেন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে খান মাসুম বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যেই দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী, শিক্ষামন্ত্রী এবং স্পিকার নারী। কিন্তু সেই বাংলাদেশে নারীর প্রতি হিংসা বিদ্বেষ, নারীকে তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করে যে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তাদের কারও বিচার হয়নি। এই মৌলবাদী গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে নারীকে অবদমিত করে রেখেছে।
বিজ্ঞাপন
মানবাধিকার কর্মী মুশফিকা লাইজু বলেন, এই যুগে এসে একটি সভ্য দেশ যেখানে চুল বের হয়ে আছে বলে রাষ্ট্রীয় পোষা বাহিনী দিয়ে একজন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা যেমন দাঁড়িয়েছি আমার মনে হয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটির বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া দরকার যেন নারীদের প্রতি এমন আচরণ পৃথিবী বন্ধ করে।
মানবাধিকার কর্মী শাহনাজ সুমি বলেন, ইরানের পুলিশ সেই দেশের নারীদের প্রতি যে আচরণ করছেন এটা সন্ত্রাসী আচরণ। এটা বাংলাদেশেও হচ্ছে। এখানে টিপ পরার অপরাধে, টিশার্ট পরার কারণে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে করেছি। কিন্তু আমাদের আইনি ব্যবস্থা যারা পরিচালনা করছেন তারা এসব ঘটনায় তাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিষা চক্রবর্তী বলেন, ইরানে নারীরা যে আন্দোলন করছে এই আন্দোলন নারীর স্বাধীনতার পথ দেখাবে। যে মৌলবাদী শক্তি নারীদের স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চায় তাদের প্রতি একটা বার্তা দিচ্ছে যে কূপমণ্ডূক চিন্তা দিয়ে নারীদের ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা যাবে না। এ আন্দোলনের মাধ্যমে নারী মুক্তির আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে।
এইচআর/এমএ