কাতারে শুরু হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের ২২তম আসর। আর সেই বিশ্বকাপের রঙের ছোঁয়া লেগেছে হাজার মাইল দূরের বাংলাদেশেও। বিশ্বকাপে সরাসরি খেলায় অংশগ্রহণ না করলেও প্রিয় দলের জার্সি ও পতাকা কেনা কিংবা আড্ডা, গল্প বা চায়ের কাপে তর্কের উত্তাপে জমে উঠেছে পাড়া-মহল্লার অলিগলি। ইতোমধ্যে বিশাল আকৃতির পতাকা বানিয়ে, আলপনায় প্রিয় দল বা খেলোয়াড়ের ছবি এঁকে, বাড়িতে প্রিয় দলের পতাকার আদলে রং করে আলোচনায় এসেছেন অনেকেই। 

এমনই একজন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান বিন ইউনুস। তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র। হলের কমনরুমের দেয়ালে অঙ্কন করেছেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি এবং আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির দেয়ালগ্রাফি। মেসির রঙিন দেয়ালগ্রাফির নকশা ও কারুকার্য সাড়া ফেলেছে ক্যাম্পাসজুড়ে।  

জানা গেছে, ইমরান দুই দিনে মাত্র ১৫ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ ছবিটি আঁকা শেষ করেছেন। ছবিটিতে দেখা যায়, লিওনেল মেসির আবক্ষ প্রতিচ্ছবি। প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার দেয়ালগ্রাফিটিতে কালো, সাদা, আকাশি নীলের সঙ্গে হলুদ ও লাল রঙের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মেসিকে। 

চার বছর পর পর আয়োজিত ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে বাকৃবির ফুটবল ভক্তরা বরাবরের মতোই উচ্ছ্বসিত। ছেলেদের হলগুলোতে বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিভিন্ন দলের বিশেষত আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ফ্যান ক্লাব নামে কমিটিও দেওয়া হয়েছে। অনেক হলেই উড়ছে বিশালাকৃতির আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিলের পতাকা। আবার হলের দেয়ালে আঁকা হয়েছে পছন্দের দলের পতাকা। তবে ইমরান তার নিজস্ব দক্ষতায় অত্যন্ত সুনিপুণভাবে মেসির প্রতিকৃতিকে নানা রংয়ে তুলে ধরেছেন সবার সামনে। শুধু আর্জেন্টিনা ভক্তরা নয়, ব্রাজিলের সমর্থকরাও প্রশংসা করছেন ইমরানের আঁকা মেসির দেয়ালগ্রাফি নিয়ে।

ইমরান বলেন, আমার কাছে মেসি একটা আবেগের নাম। তবে মেসির ছবির গ্রাফিতি এই প্রথমবার করলাম। পুরো কাজটা শেষ হওয়ার পর দেখে মনে হলো পরিশ্রম সার্থক হলো। ধন্যবাদ সবাইকে যারা সব সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন।

মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এসপি