ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ করেছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়।

আজ (বুধবার) দুপুরে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনসমূহের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেছে বামপন্থী সংগঠনগুলো। সমাবেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, সাত ছাত্রনেতার নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও ওই আইনে শ্রমিকনেতা রুহুল আমিনসহ গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তির দাবি করেন বক্তারা।

সমাবেশে সদ্য কারামুক্ত নজির আমির চৌধুরী জয়, তামজিদ হায়দার চঞ্চল ও মো. আকিফ আহম্মেদকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। এ সময় একটি মিছিলও বের করেন তারা। মিছিল থেকে ‘লাথি মার ভাঙরে তালা, শেখ হাসিনার বন্দিশালায় আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা’ স্লোগান দেন তারা।

ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজনের সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য রাখেন ছাত্র  সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক আল কাদেরী জয়।

সমাবেশে আল কাদেরী জয় বলেন, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কথা বলে এই আইন দিয়ে অগণতান্ত্রিকভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। এই করোনাকালীন সময়ে লেখক, কার্টুনিস্ট এবং সাংবাদিকসহ প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করেছে। সম্প্রতি লেখক মুশতাকের কারাগারে মৃত্যু এবং কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে নির্যাতন সেই কালো আইনের অপপ্রয়োগেরই বহিঃপ্রকাশ।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজাসহ প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এইচআর/এনএফ