কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগী তাবাসসুমের বক্তব্য শুনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি। তাদের মোট চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তদন্ত কমিটির ডাকে ক্যাম্পাসে আসেন অভিযুক্ত ছাত্রী ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তার সঙ্গে আসেন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম।

সকাল সাড়ে ৯টায় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তায় অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের কক্ষে নেওয়া হয়। চার ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে বের হন তারা। এরপর দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে যান অভিযুক্তরা।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমার স্বাক্ষরিত চার পৃষ্ঠার একটি লিখিত বক্তব্য তদন্ত কমিটিকে দেওয়া হয়েছে। আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত হচ্ছে, তদন্তের মাধ্যমে আপনারা সব কিছু জানতে পারবেন।’

আরেক অভিযুক্ত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম বলেন, ‘আমি সবকিছু তদন্ত কমিটিকে বলেছি। এখানে কিছু বলতে চাই না।’

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, আমরা তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। আমাদের তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। এখনো প্রক্রিয়া চলমান আছে। তাই এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেব।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত এক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা আক্তার অন্তরা ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে রাখে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্যাতনের ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় তাকে। ভয় পেয়ে পরদিন হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ওই ছাত্রী।

রাকিব হোসেন/আরএআর