জাবির ছাত্রী হলে নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বেগম সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কয়েকটি হল প্রদক্ষিণ করে বেগম সুফিয়া কামাল হলের সামনে এসে সমাবেশে জড়ো হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্রী হলে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক প্রবেশ করে চুরির চেষ্টা ও গালাগালি করেছে। এ ঘটনায় ওই যুবককে শনাক্ত করে বিচারসহ ১২ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীকে বিচারের আওতায় আনা, প্রাচীর দেয়ালের উচ্চতা বাড়ানো, হাইওয়ের প্রাচীরে ক্যাচিং লাগানো, হলে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো, ক্যামেরা সর্বক্ষণ মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা, হলের সামনে মাটি ভরাট করা, হলের চারপাশে ফ্লাড লাইট লাগানো, গার্ডের দায়িত্ব পালন সঠিকভাবে নিশ্চিত করা, নিচ তলার প্রতিটি জানালার ক্যাচিং লাগানো, দুইজন হল সুপারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা, নিচ তলার ডাইনিং ও গণরুমে জানালার পর্দা লাগানো ও নিরপেক্ষ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
বেগম সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী সাদিয়া ফারহা লিজা বলেন, গতকাল ভোররাতে আমাদের হলে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা আতঙ্কিত। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ অনুভব করছে না। একটা আবাসিক হলের ছাত্রীরা এভাবে অনিরাপদ থাকতে পারে না। আর অনিরাপদ যদি থাকে তাহলে হল প্রশাসনের দায়িত্ব কি?
বিজ্ঞাপন
খবর পেয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন হলটির ওয়ার্ডেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও হলের আবাসিক শিক্ষক নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসাব্বের হোসেন। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের ব্যাপারে আশ্বাস দেন শিক্ষকরা। পরে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ খেয়াল রাখছি। যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আজকে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভায় কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলোও বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি।
আলকামা/আরএআর