রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আহত ৪ শিক্ষার্থীকে ঢাকায় পাঠানো হয়

স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে  চার শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। 

ওই চার শিক্ষার্থী হলেন- মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আলিমুল ইসলাম, ফারসি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র মিসবাউল ইসলাম, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজ। তাদের সঙ্গে একজন মেডিকেল স্টাফ ও তাদের পরিবারের লোকজন আছেন। 

তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এবং একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। 

প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেকেই এখন শঙ্কামুক্ত। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরেছেন। তবে সংঘর্ষের সময় কিছু শিক্ষার্থী চোখে আঘাত পেয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের চোখের অবস্থা ভালো না। তাই ডাক্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অর্থায়নে তাদের চিকিৎসা হবে।

এদিকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকা পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসানকে আজ দুপুরে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, রাকিবুলের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। অক্সিজেন ছাড়াই তিনি কথা বলতে পারছেন। তাকে দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১১ মার্চ) সংঘর্ষের পর আহত অবস্থায় রাতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ভর্তি করা হয়। রাতেই তাদের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের চিকিৎসা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর সম্ভব নয় বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানান, তিনজন ছাত্রের চোখের ‘ভিট্রিয়ল রেটিনাল ইনজুরি’ রয়েছে। রাজশাহীতে এর চিকিৎসা সম্ভব নয়। এ জন্য তাদের ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর ঢাকা পোস্টকে বলেন, এই শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসার ব্যয়ভারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করবে। 

জুবায়ের জিসান/আরএআর