বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদার পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হলের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ সময় টায়ারে আগুন ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের নিঃশর্ত পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রভোস্ট নিয়মিত হলে যান না। কোনো সই নেওয়ার জন্য শিক্ষকের কক্ষে যাওয়ার পরও পাওয়া যায় না। হলে কৃত্রিম সিট সংকট তৈরি, হল নির্মাণ ও সংস্কার কাজে অসংগতি ও ধীরগতি, হলের দুই ভবনে সাবমারসিবল পাম্পে বালু ওঠে, যা পান করার অযোগ্য। এসব সমস্যা নিরসনে প্রভোস্ট কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ছাত্রদের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ এমনকি গ্রেপ্তারের হুমকিও দিয়েছেন।

বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের ঈশা খাঁ হল ইউনিটের সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, আজ স্বাধীনতা দিবসে হলের ব্যবস্থাপনায় প্রীতি খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হল প্রভোস্টকে ফোন দিলে তিনি দুর্ব্যবহার করে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।

ওই হলের শিক্ষার্থী রেজওয়ান বলেন, হলে বিদেশি (নেপাল) শিক্ষার্থীরা দুই কক্ষে ৬ জন থাকেন। আরেক কক্ষে কেউ থাকে না। ওই রুম তারা খাওয়া ও রান্না করার কাজে ব্যবহার করে। এদিকে অনেক শিক্ষার্থী সিট (আবাসন) পায়নি। সিট না পাওয়া শিক্ষার্থীদের ওই কক্ষে দেওয়ার কথা বললে প্রভোস্ট আমাদেরকে বাধা দেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, আমি নিয়মিত হলে যাই। হলে সারা দিন ডিউটি থাকে না। প্রয়োজন অনুসারে হলে যাওয়া হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে আলাদাভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তারা ব্যতীত আর কেউ থাকতে পারবে না।

হল সংস্কারে ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, হল নির্মাণ ও সংস্কার চলাকালে শিক্ষার্থীরা বাধা প্রদান করে। ছয় মাস আগে তারা হল সংস্কারের সময় ভাংচুর করে। সাবমারসিবল পাম্প নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। এমনকি নতুন সংযোগ করা হয়েছে। অছাত্র হয়ে আমার কাজে বাধা প্রদান করলে গ্রেপ্তার করা হবে। যে অভিযোগ করছে তিনি বর্তমানে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী না।

হল প্রভোস্ট আরও বলেন, আমি যদি সঠিকভাবে আমার দায়িত্ব পালন করতে না পারি তাহলে অবশ্যই পদত্যাগ করব। আর যে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী নয় তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি উপাচার্য স্যারকে বলেছি। উপাচার্য স্যার বিষয়টির সমাধান করবেন।

মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/ওএফ