জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখতে সব মুক্তিযোদ্ধার নামে দেশে রাস্তাঘাট করতে হবে। এ বিষয়ে একটি আইন সংসদে পাসের অপেক্ষায় আছে। 

শনিবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফিরোজ রশিদ’ মিলনায়তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মৃতিচারণ করে জাতীয় পার্টির এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এই দেশকে স্বাধীন করেছি। 

পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই হাসপাতালে রোগীদের সেবা বাড়াতে হবে। আমাদের একটা হলের সংকট ছিল, সেটা নির্মিত হয়ে গেছে। 

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যেসব কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তার মধ্যে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা একটি। আশা করি ন্যাশনাল হাসপাতাল বিগত দিনে যেভাবে সুনামের সঙ্গে মানুষকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছে, সামনের দিনগুলোতেও স্বল্প খরচে সব শ্রেণির মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়ে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশীদার হবে।

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হাসপাতাল গর্ভনিং বোর্ডের সদস্য গাজী সরোয়ার হোসেন বাবু বলেন, আমাদের এ হাসপাতালের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বলেই তিনি আমাদের হাসপাতালের বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়ে সেবার মানকে আরও ভালো করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা আরও কীভাবে উন্নত থেকে উন্নত করা যায়, সেজন্য আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। 

এ সময় হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগে. জেনারেল (অব.) ডা. ইফফাত আরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র শহিদুল্লাহ মিনু, ৪২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী সেলিম, ডা. মাকসুদুল আলমসহ কলেজের গর্ভনিং বোর্ডের অন্যান্য সদস্য, মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এমএল/জেডএস